কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান : আগাম খবর পেয়ে রাতে গাড়ি আটকেছিল পুলিশ (Police Petroling)। তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হল দু-দুটি আগ্নেয়াস্ত্র (Arms Recovered)। বর্ধমানের (Burdwan) নবাবহাটে পুলিশের জালে এক দুষ্কৃতী (Anti Social)। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতের বাড়ি থেকে মিলেছে ৯টি তাজা বোমা।
দুষ্কৃতী তাণ্ডব নিয়ে এমনিতেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি, তার মধ্যেই এবার আগ্নেয়াস্ত্র সহ বর্ধমানে গ্রেফতার হলেন এক ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতের বাড়ি থেকে ৯টি বোমাও উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তির নাম প্রভাত চন্দ্র। বাড়ি আমবাগান রেল কোয়ার্টার এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাতে নবাবহাটে একটি গাড়ি আটকান তাঁরা। তল্লাশিতে যাত্রীর কাছ থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল এবং একটি ওয়ান শটার উদ্ধার হয়েছে। বর্ধমান (সদরের ডিএসপি অতনু ঘোষাল বলেছেন, 'বর্ধমান থানার পুলিশ নবাবহাট এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করেছে। ধৃতের বাড়ি থেকে ৯টি বোমা মিলেছে।'
এদিকে, বর্ধমানে দুষ্কৃতী গ্রেফতারের ঘটনায় একে অপরকে দুষেছেন শহরের দুই তৃণমূল (TMC) নেতা। তা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)। তৃণমূল নেতা তথা বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর সৈয়দ মহম্মদ সেলিম বলেছেন, 'ধৃত প্রভাত তৃণমূল নেতা শিবশঙ্কর ঘোষের অনুগামী ছিল। তাঁর সঙ্গে এলাকায় ঘুরতেও দেখা গেছে।' অপরদিকে, পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক শিবশঙ্কর ঘোষ বলেছেন, 'ধৃতের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। বরং সেলিমের সাথেই ওকে ভোটের সময় ঘুরতে দেখা গেছে।' গোটা বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করে বিজেপির বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক শ্যামল রায় বলেছেন, 'তৃণমূলের বোমা-বন্দুকের রাজনীতি। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে।'
কিছুদিন আগেই বর্ধমান (Burdwan) রামপুরহাট (Rampurhat) শাখার নওদার ঢাল স্টেশন থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি (CID)। তাদের কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- বর্ধমানে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার ৩ দুস্কৃতী, ধৃতরা তৃণমূল কর্মী বলে দাবি বিজেপির