কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান:  বিধিনিষেধ চালু হলেও, মাস্ক পরার ক্ষেত্রে অসচেতনতার ছবি দেখা গিয়েছে বেশ কয়েক জায়গায়। হাওড়ার ব্যাঁটরা বাজারে মাস্ক ছাড়া এলেই ধরছে পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক, হলদিয়ায় চলছে সচেতনতামূলক প্রচার।শুরু ধরপাকড়। মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে বর্ধমানে রাস্তায় নামলো পুলিশ ও প্রশাসন। সেই সঙ্গে চলছে মাইকে প্রচার। 


ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে ফিরেছে কড়া বিধিনিষেধ। তারপরও জেলায় জেলায় এই অসচেতনতার ছবি চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের। মাস্ক না পরার জন্য  ৬৫ জনকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ।  বর্ধমানের পার্কাস রোডে জিটিরোডের সকাল থেকেই বর্ধমান উত্তরের মহাকুমা শাসক ও বর্ধমান থানার আইসি এর নেতৃত্ত্বে অভিযান চালানো হয়। করোনা বিধি মানা হচ্ছে কি না, মাস্ক পরা হয়েছে কি না, তা দেখতে  চারচাকা গাড়ি ও বাসেও উঠে পড়েন তাঁরা। বাস দাঁড় করিয়ে বাসে উঠে পড়েন মহাকুমা শাসক ও আইসি। বাসের ভিতরে একজন মহিলা যাত্রী মাস্ক না পড়ায় তাকে ধমক দেয় পুলিশ। এমনকি পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে মাস্কও দেওয়া হয় পরার জন্য। ধরপাকড়ের পাশাপাশি পুলিশকে দেখা যায় মাস্ক বিলি করতে। বর্ধমান উত্তরের মহাকুমা শাসক জানান, আগামীদিনে মাস্ক না পরলে  আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বাসে মাস্ক পড়ে না উঠলে সাময়িক ভাবে বাসের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হবে।

আরও পড়ুন :


ফেব্রুয়ারি-মার্চে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে উত্তরবঙ্গের, আশঙ্কা স্বাস্থ্যকর্তাদের


সংক্রমণ মোকাবিলায় বাজার-হাটে গেলে মাস্ক পরা আবশ্যিক বলে ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সোমবার থেকে চালু হয়ে গেছে বিধিনিষেধ। হাওড়া ব্যাঁটরা থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া বা তমলুক। সংক্রমণের তীব্র আতঙ্ক সত্ত্বেও অনেকেই মাস্ক ছাড়া বেরিয়ে পড়েছেন বাজারে। কে বলবে হাওড়া জেলায় একদিনে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ! পূর্ব মেদিনীপুরেও লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তারপরও বাজারে আসা সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশই মাস্ক পরা নিয়ে উদাসীন! এমনকি জ্বর হওয়ার পর ডাক্তার দেখানো নয়, ক্রেতা চলে এসেছেন বাজারে । কারও কারও আবার যুক্তি অদ্ভুত। ' মাস্ক পরেননি কেন? ' ...' আমার জ্বর হয়েছে তাই পরিনি'


হাওড়ার ব্যাঁটরা বাজারে মাস্ক ছাড়া চলে এসেছেন এমন অনেকেই। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের আটক করছে পুলিশ। পাশের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরেও অনেকের ফেরেনি হুঁশ। হলদিয়ার মিলন বাজারে অধিকাংশ ক্রেতা, বিক্রেতার মুখেই নেই মাস্ক। তমলুক ও নন্দকুমারে সচেতনতামূলক প্রচারে জোর দিয়েছে পুলিশ।


সোমবারও রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রইল ছ’হাজারের ঘরে। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৭৮ জন। পজিটিভিটি রেট ১৬ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ২০ শতাংশ। এর মধ্যেও চার পুরসভার ভোট পিছোচ্ছে না। পূর্বনির্ধারিত নির্ঘণ্ট অনুযায়ী, তা ২২ জানুয়ারিই হবে