রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: টাকার বিনিময়ে ভুয়ো প্রতিবন্ধী শংসাপত্র (disability certificate) বিলির অভিযোগ। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় রাজ্য সরকারের মানবিক প্রকল্পে দুর্নীতির পর্দাফাঁস। প্রশাসন সূত্রে খবর, শুধুমাত্র ৫টি ব্লকেই প্রায় সাড়ে চারশো ভুয়ো প্রতিবন্ধী শংসাপত্র মিলেছে। তাঁদের অনেকে বিশেষ ভাবে সক্ষমদের ভাতাও পাচ্ছেন। চক্রের পিছনে কারা, তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। 


ভুয়ো প্রতিবন্ধী শংসাপত্র বিলি


টাকা ফেললেই এবার মিলছে প্রতিবন্ধীর শংসাপত্র। সরকারি ভাতার জন্য শারীরিক প্রতিবন্ধকতার মাপকাঠিও মানা হচ্ছে না। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় জালিয়াতির পর্দাফাঁস করল প্রশাসন। 


কেতুগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যাল বলেন, 'গত যে দুয়ারে সরকার শিবির গেল, এত আবেদন জমা পড়ছিল মানবিক প্রকল্পে ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন ছিল। সেইমতো কাটোয়া মহকুমাহাসপাতালে জানাই। যেগুলো ফেক সেগুলোকে রিজেক্ট করা হয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি।'


মানবিক প্রকল্পে বিশেষ ভাবে সক্ষমদের প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু ওই প্রকল্পে ভাতা পাওয়ার শর্ত হল, ৫০ শতাংশের বেশি শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকতে হবে। যাঁদের শারীরিক প্রতিবন্ধকতার মাপকাঠি ৫০ শতাংশের কম, অভিযোগ তাঁদের অনেকেই টাকার বিনিময়ে প্রতিবন্ধী শংসাপত্র পেয়ে গিয়েছেন। এমনকী যোগ্যতামান না থাকা সত্ত্বেও মানবিক প্রকল্পে ভাতাও পাচ্ছেন তাঁরা।


আরও পড়ুন: North 24 Paraganas: জনবহুল এলাকায় গৃহবধূর গলাকাটা দেহ উদ্ধার, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক স্বামী


কিছুদিন আগে অ্যানাস্থেটিস্টের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে চর্মরোগের (Drmatologists) চিকিৎসা করার অভিযোগ ওঠে। কলকাতায় ফের গ্রেফতার ভুয়ো চিকিৎসক (Fake Doctor) ও তাঁর সহযোগী। ৮ ফেব্রুয়ারি রবীন্দ্র সরোবর (Rabindra Sarabar) থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক অ্যানাস্থেটিস্ট।


অভিযোগ, তাঁর রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে চিকিত্সা করছেন এক ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে জানা যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গা ছাড়াও ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম এমনকি খাস কলকাতায় চেম্বার খুলে চিকিত্সা করছেন ভুয়ো চিকিত্সক। এমনকি ভুয়ো চিকিত্সকের সহযোগীও নিজেকে চিকিত্সক পরিচয় দিতেন বলে অভিযোগ। ভুয়ো চিকিত্সক শুভ নাথ ও তাঁর সহযোগী রাজীব সরকারকে গ্রেফতার করে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ। প্রতারণা-সহ ৫টি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।