পূর্ব বর্ধমান: যে রক্ষক, সেই কি হলেন ভক্ষক ? অন্তত এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠল এবার পূর্বস্থলীতে (Purbasthali Police Station)। বরাবরের মতোই অভিনব টোপ প্রতারকদের। এবার একেবারে ২ দিনে টাকা দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লুঠের ঘটনা ঘটল আরও একবার। আর এবার অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন খোদ এক সিভিক ভলান্টিয়ারও !


সারদা, রোজভ্য়ালির পর এবার অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে পূর্বস্থলীতে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। পূর্বস্থলীর পাশাপাশি নবদ্বীপেও ছড়িয়েছে প্রতারণার জাল।'টি অ্যান্ড জি' নামে অ্যাপের মাধ্যমে টার্গেট করা হত মহিলাদের। পূর্বস্থলী থানায় (Civic Volunteer in Purbasthali) এক সিভিক ভলান্টিয়ার সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।


স্বল্প সময়ে টাকা দ্বিগুন হওয়ার স্বপ্ন কে না দেখে। একের পর এক পলিসির অলিতে গলিতে নজর ঘোরে গ্রাহকদের। ভবিষ্যতকে নিশ্চিত করতে সকলেই সতর্ক। বিশেষ করে মাঝে কোভিড পর্বে অনেকেই হারিয়েছেন চাকরি। তারপর নতুন করে কাজের সন্ধান পেতে অনেকেরই প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়েছে। এমন অভিজ্ঞতা আগে ছিলও না কারও। এত দীর্ঘ সময় অনেকেই রুজিরুটি হারিয়ে সঞ্চয় ভাঙিয়ে দিন চালিয়েছে। তাই এত কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি হতে প্রায় সকলেই সজাগ। অর্থ সঞ্চয় যে ভবিষ্যতে বড় বিপদ থেকে বাঁচিয়ে দেবে, না নিয়ে অন্য মত নেই কারও।


তবে ভাল করে খবর নেওয়া  বা খুঁটিয়ে দেখা, অনেকক্ষেত্রেই হয়ে ওঠে না গ্রাহকদের। আর সেই ফাঁক ফোকরেই গুটি সাজায় প্রতারকরা। আগে ফোন করে ব্যাঙ্ক থেকে বলছি, কিংবা আপনার জন্য বিশেষ অফার আছে বলে এটিএম-র পিন চেয়ে নেওয়া ফোন এখন হয়তো একটু কমেছে। তবে প্রতারকদের সংখ্যাটা কমেছে কি ? অভিনব উপায় খুঁজেই চলেছে প্রতারকরা। আর সেই ফাঁদেই পা দিয়ে শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা।


তবে যে রক্ষকের উপর ভরসা করে, পথ হাঁটবে সবাই, সেই রক্ষকই, ভক্ষক হয়ে অভিযোগের তালিকায় এল এবার। যদি এজন্য কড়া নজর রয়েছে প্রশাসনেরও। সাইবার ক্রাইম হোক, কিংবা খাতায় কলমে, সবসময়ই লালবাজার তার খেয়াল রেখে চলেছে। তারই ফল স্বরুপ এবার পূর্বস্থলীর বাসিন্দারা বড় বিপদ অনেকাংশ এড়াল। আরও গ্রাহকরা ফাঁদে পড়ার আগেই অভিযোগ দায়ের হল থানায়। 


 আরও পড়ুন, ভবানীপুরে ভেঙে পড়ল বাড়ির একাংশ, গুরুতর জখম যুবক, নেওয়া হল SSKM-এ


প্রসঙ্গত, প্রতারণাকাণ্ডে এর আগেও নাম উঠেছে খোদ রক্ষকেরই। চলতি বছরেই মে মাসে সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা চক্র চালানোর গ্রেফতার হয়েছিলেন পুলিশকর্মী। পুলিশের জালে ধরা পড়েছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে পুলিশকর্মীদের থেকে টাকা তোলার অভিযোগ ছিল সেবার।