কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমানঃ ক্ষতিপূরণের দাবীতে এবার কার্জনগেট চত্বরে জিটি রোড অবরোধ (Road Blocked) করল মেমারীর রসুলপুরের আলু চাষীরা (Memari Potato Farmers )।ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ চলবে বলে হুশিয়ারী চাষীদের। চাষীদের অভিযোগ মেমারীর রসুলপুরে তিরুপতি হিমঘরে রাখা আলু হিমঘর কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে নষ্ট হয়ে গেলেও তার ক্ষতিপূরণ নিয়ে ৩ মাস ধরে বিভিন্ন স্তরে টালবাহানা চলছে।
হিমঘর কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে আলু নষ্ট, ৩ মাস ধরে টালবাহানা, মিলল না ক্ষতিপূরণ
গত ১৯ মে মেমারির রসুলপুরে তিরুপতি হিমঘরে গিয়ে কৃষকরা দেখেন ৩ নং চেম্বারে রাখা আলু নষ্ট হয়ে গেছে। হিমঘর সূত্রে জানা গিয়েছে,৩ নং চেম্বারে ১৮৮৯ জন কৃষকের ১,১৫,৬৬৩ প্যাকেট আলু আছে।আলু নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ক্ষতিপুরনের দাবীতে আন্দোলনে নামে কৃষকরা।এমনকি ২ নং জাতীয় সড়কও অবরোধ করে।পাশাপাশি জেলা প্রশাসন ও হিমঘর মালিকের সহিত ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেও বসে।তাতেও কোনো সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ চাষীদের। তারই প্রতিবাদে ও ন্যায্য ক্ষতিপূরণের দাবীতে এই অবোরোধ বলে জানান চাষীরা। প্রসঙ্গত, একেই রাজ্য জুড়ে খারাপ আবহাওয়ার শেষ নেই। তার উপর মজুত আলুর উপরেই ভরসা রেখেছিলেন কৃষকরা। সময় মত বাজারে ছেড়ে দুটো পয়সা রোজগারের আশায় হিমঘরে রাখেন তাঁরা। সাধারণত শীতকালে নতুন আলু ছাড়া, সারাবাছরই হিমঘর থেকে বাজারে আু মজুত করা হয়। অনেক সময় চড়া দামে ছাড়ার অভিযোগও উঠেছে। কিন্তু সেসব তো ব্যাতিক্রমী ঘটনা। এখন হিম ঘরে আলু পচে যাওয়ায় কীভাবে ক্ষতিপূরণ ছাড়া চলা সম্ভব, যার জেরে ধৈয্যের বাধ ভেঙে এবার প্রতিবাদে নেমেছে আলু চাষীরা।
আরও পড়ুন, 'মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তিই শেষকথা', মন্ত্রিসভার রদবদল ঘোষণা ঘিরে কী বলছেন মুকুল-কুণালরা ?
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও করেও বিক্ষোভ
পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও করেও বিক্ষোভ দেখায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা।দীর্ঘক্ষণ ঘেরাওয়ের পর ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের কয়েকজনের প্রতিনিধি দল জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে।জেলাশাসকের আশ্বাসে তারপরই উঠে যায় বিক্ষোভ।জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা জানান,'ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের জন্য সরকার ও জেলাপ্রশাসন কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা তাদের জানানো হয়। আগামীকালই হাইকোর্টে এই মামলার শুনানী আছে। আশাকরি সমস্যা মিটে যাবে।'