কমলকৃষ্ণ দে, মেমারি : মেমারির (Memari) শ্রীধরপুর সমবায় সমিতির নির্বাচনে (Co-operative Election) বিপুল ভোটে জয়ী হলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। রবিবার এই সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছিল টানটান উত্তেজনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ।
মেমারি ২ নম্বর ব্লকের সাতগেছিয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সাতগেছিয়া শ্রীধরপুর অবিনাশ ইনস্টিটিউশনে ভোট গ্রহণ করা হয়। মোট ভোটার ২ হাজার ২৯১ জন। আসন সংখ্যা ৪৬। রবিবার ভোট শেষে গণনায় দেখা যায়, ৪৬টি আসনেই তৃণমূল প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন।
বিরোধী নিশানায় শাসক-দল-
যদিও মেমারির প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা ও এই সমবায়ের সদস্য তাপস চ্যাটার্জির অভিযোগ, শ্রীধরপুর কো-অপারেটিভ নির্বাচনে দুর্নীতিগ্রস্ত বোর্ডকে অপসারিত করার জন্য লড়াই করতে চেয়েছিলেন। শ্রীধরপুর কো-অপারেটিভে দীর্ঘদিন নির্বাচন হয়নি। আদালতের নির্দেশেই এই নির্বাচন হয়। তাই 'সমবায় বাঁচাও মঞ্চ' তৈরি করে ৪৬ টার মধ্যে ৪৪ টায় মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়েছিল। ৪৪টার মধ্যে ১৩টা নানা কারণে বাতিল করে দেওয়া হয়। স্বচ্ছ ভোটে জিততে পারবে না বলে নমিনেশন বাতিল করে দিয়েছে শাসকদল। রবিবার ভোট শুরু হতেই চারদিক থেকে লোক এনে ঘিরে নিয়ে ছাপ্পা ভোট দিয়েছে। তাই এই নির্বাচন বাতিল করার জন্য কমিশন এবং আদালতে যাবেন তাঁরা, এমনই জানিয়েছেন তাপসবাবু।
আরও পড়ুন ; তোলাবাজির অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা
যদিও মেমারি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি মহম্মদ ইসমাইল জানিয়েছেন, ভোট শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। সমবায় নিয়ম মেনেই ১২ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ৩৪টি আসনে বিরোধীরা প্রার্থী দিয়েছিল। হেরে যাওয়ায় ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে। আসলে ওদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে।
প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে তোলাবাজির অভিযোগ ওঠে মেমারিতে। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। দাবিমতো টাকা না দিলে পঞ্চায়েতকে দিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।