কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: রাজ্যের শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমানে (East Burdwan) এসে বর্ধমান ২ নং ব্লকের কৃষি দপ্তরে চাষীদের সঙ্গে কৃষি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor)।
নিজেকে কৃষক পরিবারের ছেলে বলে পরিচয় দিয়ে কী বলেন রাজ্যপাল ?
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, নিজেকে কৃষক পরিবারের ছেলে বলে পরিচয় দিয়ে রাজ্যপাল জানান, তিনি দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় কৃষি দপ্তরে কাজ করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বেশ কিছু কৃষি সংক্রান্ত ভাল কাজ কৃষকেরা করছেন। করোনা অতিমারীর সময় কৃষকদের অবদান ভোলার নয়। এরপরই তিনি, ব্লকের একাধিক কৃষকের চাষ সংক্রান্ত বিষয়ে খবর নেন। বিকল্প চাষ নিয়ে গুরুত্ব আরোপ করার উপর জোর দিতে বলেন।
অর্গানিক চাষে চেন্নাই ও হাইদ্রাবাদে কীভাবে হচ্ছে ? তুলে ধরেন রাজ্যপাল
বর্ধমান ২ নং ব্লকের নাদড়া এলাকায় এক কৃষকের পলি হাউস দেখার আগ্রহও প্রকাশ করেন রাজ্যপাল কিন্তু দূরবর্তী হওয়ায় তা সম্ভবপর হয়নি। এরপর রাজ্যপাল অর্গানিক চাষে চেন্নাই ও হাইদ্রাবাদে কীভাবে হচ্ছে ? তাতে কৃষকেরা ও সমাজ কীভাবে উপকৃত হচ্ছে ? তা তুলে ধরেন। পাশাপাশি অর্গানিক চাষ নিয়ে আগ্রহী চাষী যারা, চেন্নাই ও হাইদ্রাবাদে গিয়ে অর্গানিক চাষ সম্পর্কে জানতে চান তাঁদের একটা তালিকা দিলে তিনি তাঁদের সেখানে গিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে জানান।
রাজ্যপালের ভাষণে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রসঙ্গ
প্রসঙ্গত, রাজ্যে এর আগে বারবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সভামঞ্চ থেকে এনিয়ে সরব হয়েছেন। এবার বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের ভাষণেও এল কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রসঙ্গ। রাজ্যপাল বললেন, 'কেন্দ্রের কাছে বকেয়া রয়েছে প্রায় ১১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। যে কারণে উন্নয়নের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। আশা করব, কেন্দ্র বাংলাকে প্রাপ্য টাকা দ্রুত পরিশোধ করবে।'
আরও পড়ুন, 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে চলে যাচ্ছে টাকা, তাই পুরো DA দেওয়া যাচ্ছে না', বললেন চিরঞ্জিত
রাজ্যপাল বলেন, যে তিনটি ক্ষেত্রে এবছর আমরা বিশেষ সাফল্য অর্জন করতে পারিনি সেগুলি হল, ১০০ দিনের কাজ, গ্রামীণ আবাসন ও গ্রামীণ সড়ক। ২০২১-২২ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ এই ক্ষেত্রগুলিতে প্রথম স্থানে ছিল। কিন্তু, এবছর রাজ্য এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের কাছ থেকে তার প্রাপ্য টাকা পায়নি। ১১ হাজার ৮০০ কোটি টাকারও বেশি পাওনা এখনও বকেয়া রয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের জনকল্যাণের লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতি পূরণের কাজে রাজ্য সরকারকে অনেক অসুবিধা ও অনেক বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। দরিদ্র মানুষের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার শীঘ্রই টাকা পাঠাবে বলে আমি আশা রাখি এবং আমার স্থির বিশ্বাস যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্য টাকা পেয়ে গেলে পশ্চিমবঙ্গ ১০০ দিনের কাজ, গ্রামীণ আবাসন ও গ্রামীণ সড়কের ক্ষেত্রগুলিতে পুনরায় শীর্ষস্থান অধিকার করবে।'