কমলকৃষ্ণ দে,পূর্ব বর্ধমান: মেমারিতে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার (Dead body)। পড়াশোনায় অমনযোগী হওয়ায়, মায়ের বকুনিতেই অভিমানে কি চরম সিদ্ধান্ত ? পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান হাসপাতালে (Burdwan Hospital) পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই প্রকৃত কারণ জানা যাবে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে, মেমারী শহরের হরেকৃষ্ণ পল্লীতে।


পুলিশ ও পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কয়েক দিন ধরেই ঠিকঠাক পড়াশোনা করছিল না ওই ছাত্রী। তাই মা তাকে গতকাল বকাঝকা করে। 'অভিমানে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে', বলে পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে আলিপুরদুয়ারে। চকোলেট ‘চুরি’র (shoplifting) ছবি ভাইরাল (viral) হওয়ায় অপমানে আত্মঘাতী হন আলিপুরদুয়ারের  এক (suicide) ছাত্রী। স্থানীয় একটি শপিং মল থেকে চকোলেট চুরির অভিযোগ উঠেছিল ওই কলেজছাত্রীর বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, সেই সংক্রান্ত ছবি ভাইরাল হওয়ার অপমানেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।  মৃতার বাবা রতন ঘোষ জানিয়েছেন, তাঁর বড় মেয়ে কলেজের তৃতীয় বর্ষে পড়ত। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ছোট বোনকে নিয়ে শপিং মলে গিয়েছিল সে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, ওই শপিং মল থেকে সকলের অজান্তে একটি চকোলেট তুলে নিয়েছিলেন সুভাষপল্লীর বাসিন্দা ওই তরুণী। কিন্তু পরে ধরা পড়ে যান। তরুণীর বাবার অভিযোগ, সেই সময়ে মলের কর্মচারীরা তাঁদের দুই ঘণ্টা আটকেও রাখেন ৷ শেষমেশ দোষ স্বীকার করে নিয়েছিলেন ছাত্রী।


 আরও পড়ুন, ' উনি ডেঙ্গি নিয়ে গবেষণা করছেন !', 'মেয়র'-কে খোঁচা অগ্নিমিত্রার


 পরিবারের তরফে দাবি, চকোলেটের দামবাবদ টাকাও মিটিয়ে দিয়েছিলেন কলেজছাত্রী। কিন্তু ঘটনার সময় শপিং মলে কর্মরত অনেকেই তাঁর ছবি তুলে নিয়েছিল। ছবিগুলি যাতে কোথাও না বেরোয় সে ব্যাপারে বার বার অনুরোধ করেন তরুণী। কিন্তু তার পরও ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায় ৷ এর পরই নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি, জানিয়েছে পরিবার। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্ধ্যোপাধ্যায় জানান, মৃতার পরিবারের তরফে শপিং মলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। গত মে মাসেই এক যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে। স্থানীয় শ্মশানে একটি বাবলা গাছ থেকে পাওয়া যায় এক মহিলা ও এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় সে বার। একই শাড়ির দুই প্রান্তে ঝুলছিল দু’টি দেহ। তদন্তের পর  আত্মহত্যার ঘটনা বলেই অনুমান পুলিশের ।