কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) মেমারিতে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ। আহত উভয়পক্ষের ৪ জন। দু’পক্ষই নিজেদের তৃণমূল সমর্থক (TMC Supporter) বলে দাবি করেছে। গতকাল রাত ১১টা নাগাদ মেমারি শহরের চেকপোস্ট এলাকায় সংঘর্ষ বাধে। গালিগালাজের পাশাপাশি, লাঠি, রড দিয়ে মারধর ও দোকান ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। মেমারি থানার (Memari Police Station) পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্লাব সংক্রান্ত বিবাদের জেরে গন্ডগোল, রাজনীতি-যোগ অস্বীকার তৃণমূলের। সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করেছে মেমারি থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত, শুধুই পূর্ব বর্ধমানের মেমারি নয়, আরও একাধিক জেলাতেও গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কোচবিহারের দিনহাটায় তৃণমূলের দুই নেতার সংঘাত ঘিরেও সংঘর্ষ ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। মূলত, তৃণমূলের দুই নেতার অনুগামীদের সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায় কোচবিহারের দিনহাটায়। সম্প্রতি শুকারুরকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিষ্ণু সরকারকে, দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর জায়গায় নতুন ব্লক সভাপতি করা হয় দীপক ভট্টাচার্যকে। তারপর থেকেই দুই নেতার মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
মঙ্গলবার রাতে, ধাপড়ার হাট এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দুই নেতার অনুগামীরা। জখম হন দু-পক্ষের ১০ জন। তাঁদের মধ্যে তৃণমূলের তিনজন পঞ্চায়েত সদস্যও রয়েছেন। আহত তৃণমূল নেতা এনামুল হক বলেন, 'আমরা ৬-৭ জন ছিলাম, কালীপুজোর বিসর্জন চলছিল, সেই সময় দীপকের ঘনিষ্ঠরা অনুগামীরা লাঠিসোটা নিয়ে, বোম পিস্তল নিয়ে এসে আমাদের উপর আক্রমণ করে। আমরাও তৃণমূল করি ওরাও তৃণমূল করে।'এবিষয়ে দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি দীপক ভট্টাচার্য বলেন, 'আসলে আমি নতুন ব্লক সভাপতি হয়েছি মাস দুয়েক হল, ওটা বিষ্ণু সরকার সহ্য করতে পারছেন না। উনি নিজের অনুগামী তৈরি করেছেন, তারাই এগুলি ঘটাচ্ছে। পার্টির কোনও অনুষ্ঠানে আসছেন না, আর এই ঘটনাগুলি বলছেন।'
আরও পড়ুন, নিশীথকে নিয়ে উদয়নের বিতর্কিত মন্তব্য, শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের বিজেপি বিধায়কের
সম্প্রতি দিনহাটার বাসন্তীর হাটে তৃণমূলের দুই নেতার বিরুদ্ধে, দলেরই এক কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। যে ঘটনায় কয়েকজনকে বহিষ্কারও করেছে তৃণমূল। সেই প্রসঙ্গ টেনে এবারও সতর্ক করে দিয়েছেন মন্ত্রী ও তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। উদয়ন গুহ বলেন,'আমি যা শুনেছি, সেটা রাজনৈতিক বিষয় নয়, ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে এটা হয়েছে। বাসন্তীরহাটের ঘটনার সূত্র ধরে বলতে পারি, যদি দলের পতাকা নিয়ে এসব করে, তাহলে দল ব্যবস্থা নেবে।'