মলয় চক্রবর্তী,শিলিগুড়ি: উদয়ন গুহর (Udayan Guha) বিতর্কিত মন্তব্যের  বিরুদ্ধে সরব হয়ে শিলিগুড়ি থানায় (Siliguri Police Station) অভিযোগ দায়ের করলেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দাড়ি-গোঁফ উপড়ে ফেলার ফরমান উদয়ন গুহ-র। বুধবার দিনহাটার শুকারুরকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতে এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই বললেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। কোচবিহারে দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের উদ্দেশ্যে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ-র বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।  তার মধ্যে এবার উদয়ন গুহ-র করা মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ বিজেপির রাজ্য সম্পাদক শঙ্কর ঘোষ (Shankar Ghosh)।


 নিশীথ প্রামাণিকের দাড়ি-গোঁফ উপড়ে ফেলার ফরমান উদয়ন গুহ-র


পঞ্চায়েত নির্বাচের আগে ভয় দেখানোর চেষ্টার পাশাপাশি দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য দেশের অন্তর্বর্তী সুরক্ষায় হানি আনবে বলে অভিযোগ করেন শঙ্কর ঘোষ। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছেও অভিযোগ জানানো হবে বলে জানান বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। দিনহাটার সভা থেকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘ভোটে জেতার পরে আর এলাকায় ঢোকেননি নিশীথ প্রামাণিক। দাড়ি-গোঁফ উপড়ে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। কেউ অশান্তি করতে এলে ফোন করে জানাবেন। সে যাতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেল থেকে ছাড়া না পায়, সেই ব্যবস্থা করব’, হুঙ্কার উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ-র।


আরও পড়ুন, ৫৯২ দিনে পড়ল ধর্না, পথেই ভাইফোঁটা, চোখ ভিজল চাকরিপ্রার্থীদের


প্রসঙ্গত, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি (February) বা এপ্রিলে হতে পারে পঞ্চায়েত ভোট তবে এখন থেকেই চড়তে শুরু করেছে হুমকি-হুঁশিয়ারির পারদ। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সামনে এসেছিল হিংসার ছবি। সেই ভোট হয়েছিল রাজ্য পুলিশ দিয়ে। এবারের পঞ্চায়েত ভোটও, রাজ্য পুলিশ দিয়েই হতে চলেছে বলে, রাজ্য প্রশাসন ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। যা শুনে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, ২০২৩’এও তাহলে ২০১৮’র পুনরাবৃত্তি হবে না তো? এই প্রেক্ষাপটেই পঞ্চায়েত প্রসঙ্গে, সরাসরি হুমকির সুর শোনা গেল, দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহর গলায়। কিছুদিন আগেই উদয়ন গুহ (Udayan Guha) এবং তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের মুখে শোনা গিয়েছিল দাঁত উপড়ে নেওয়ার হুমকি। শাসকদলকে পাল্টা আক্রমণ করেছে বিরোধীরা।