কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: আপাত দৃষ্টিতে মনে হবে ধানের বস্তা বোঝাই করে ধান নিয়ে যাচ্ছে ট্রাক। আদতে ধান ও চালের বস্তার আড়ালে চলছিল ফেনসিডিল সিরাপ পাচার। তবে এতকিছু করেও শেষ রক্ষা হল না। অভিনব পাচারের ছক ভেস্তে গেল। পাচারের আগেই ফেনসিডিল বোঝাই ট্রাক ধরে ফেলে ভাতার থানার পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ ফেনসিডিল সিরাপ। 


বিপুল পরিমাণে ফেনসিডিলের বোতল উদ্ধার


ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ৪৫০০০ টি ফেনসিডিলের বোতল উদ্ধার করেছে পুলিশ।মোট ৪৫০ প্যাকেট যার প্রতি প্যাকেটে ১০০ পিস করে ফেনসিডিল ছিল। বর্ধমানে ভাতারের ছয় মাইল এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে ফেন্সিডিল সিরাপের প্যাকেট গুলি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,ট্রাক গুলি ঝাড়খন্ড থেকে এসেছিল।এরপর চালের বস্তার ট্রাকে এগুলি উত্তরবঙ্গ বা বাংলাদেশে পাঠানোর ছক ছিল। এই ঘটনায় আসামের একজন বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম দীপ বিশ্বাস। তাকে আদালতে পেশ করা হবে।


পুলিশের জালে ১


একুশ সালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বেআইনি ফেনসিডিল-সহ এক মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছিল ইংরেজ বাজার থানার অন্তর্গত মিলকি ফাঁড়ির পুলিশ। গভীর রাতে মিল্কি স্ট্যান্ড থেকে মিঠুন সেখ নামে ওই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১,১২০ বোতল বেআইনি ফেনসিডিল। পিচবোর্ডের বাক্সে ওই ফেনসিডিলগুলি মজুত করে বাইরে কোথাও পাচার করার পরিকল্পনা নিয়েছিল অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। কিন্তু পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, অভিযান চালিয়ে ওই মাদক কারবারীকে ধরে ফেলেছিল। উদ্ধার হওয়া ফেনসিডিলগুলির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা বলেও জানিয়েছিল তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা।


আরও পড়ুন, আইএসএফ সভার ইস্যুতে দিলীপের নিশানায় TMC, বললেন..


পাচারের পথ আটকে দাঁড়িয়ে সুরক্ষা দেয় বিএসএফ


শুধু মাদক নয়, উত্তর ২৪ পরগনা লাগোয়া বাংলাদেশ-সীমান্ত দিয়ে সোনা পাচারেরও অভিযোগ উঠেছে আগে। দিনচারেক আগেই বনগাঁর গুনারমাঠে সাড়ে ৪১ কেজি সোনা উদ্ধার করে বিএসএফ। ইছামতীতে নৌকো করে পাচারের সময় ২১ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার হয় বলে খবর। বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয় সোনা পাচারকারীদের। পরে নৌকা থেকেই উদ্ধার হয় ৩২১টি সোনার বিস্কুট, ৪টি সোনার বার, ১টি সোনার কয়েন। সন্দেহভাজন পাচারকারীদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছিলেন বিএসএফ আধিকারিকরা।