কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: খাগড়াগড়ে জাল নোটের ছাপাখানাকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের সঙ্গে তৃণমূলের (TMC) একাধিক নেতার একমঞ্চে থাকার ছবি সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) পোস্ট বিজেপি (BJP) নেতার। ঘটনার এনআইএ (NIA) তদন্ত হওয়া উচিত বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। গোটাটাই বিজেপির অপপ্রচার, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, দাবি তৃণমূলের (TMC)।
বর্ধমানের খাগড়াগড়ে পাওয়া গিয়েছিল জাল নোট তৈরির কারখানার হদিশ। গ্রেফতার হয়েছিলেন তিন জন। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে জাল নোট, ভুয়ো পরিচয়পত্র, জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম। বর্ধমান থানার পাশাপাশি, আলাদা করে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে সিআইডি। ধৃতদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন, আজই তৃণমূলে ফিরতে পারেন বিজেপির অর্জুন সিংহ, অভিষেকের অফিসে যোগদান খবর সূত্রের
পুলিশ জানিয়েছে, জাল নোট তৈরির অভিযোগে, বর্ধমান শহরের লোকো মোড়ের বাসিন্দা গোপাল সিংহ, শক্তিগড়ের বড়শুলের বাসিন্দা বিপুল সরকার ও উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বাসিন্দা দীপঙ্কর চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপাল নিজেকে অ্যান্টি করাপশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার বিশেষ সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতেন। বিপুল নিজেকে CBI অফিসার হিসেবে জাহির করতেন।
এর আগে বিজেপির বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, "দেশবিরোধী কাজের আখড়া হয়ে উঠেছে খাগড়াগড়, এনআইএ তদন্তের আবেদন জানাচ্ছি, তৃণমূলের কোনও একটা অংশ জড়িত।" অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমানের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, "বিজেপির উচিত ছিল রাজ্য পুলিশকে সাফল্যের জন্য ধন্যবাদ দেওয়া, রাজনৈতিক স্বার্থে একথা বলছে, তৃণমূল কোনও অন্যায় করে না, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না।"