কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: এবার নতুন অতিথি বর্ধমান (burdwan) জুলজিক্যাল পার্কে (zoo)। সন্তানের জন্ম (birth) দিল চিতাবাঘ (leopard) 'কালি'। গত বছরই এক সন্তানের মা হয়েছিল কালি। ১১ অগাস্ট ফের সন্তানের জন্ম দিল সে।
আনন্দের হাওয়া...
নতুন অতিথি আসায় স্বাভাবিক ভাবেই খুশির হাওয়া রমনাবাগান বর্ধমান জুলজিক্যাল পার্কে। বন দফতর সূত্রে খবর, কালি ও ধ্রুবর এই সন্তানের জন্য সমস্ত সাবধানতা নেওয়া হয়েছে। আপাতত কালি-র কাছে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি এ নিয়ে সেন্ট্রাল জু অথরিটির যে নির্দেশিকা রয়েছে, সেটিও অক্ষরে অক্ষরে মানা হচ্ছে। নিয়মিত মা ও সদ্যোজাত সন্তানের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও চলছে। সূত্রের খবর, সব ঠিকঠাক থাকলে কয়েক মাসের মধ্যেই মা ও সন্তানকে প্রকাশ্যে আনা হবে। দুটি বাচ্চা নিয়ে এই মুহূর্তে বর্ধমান জুলজিক্যাল পার্কে চিতাবাঘের সংখ্যা দাঁড়াল ৪। সব মিলিয়ে খুশির হাওয়া, স্বস্তির মেজাজ।
আলিপুর চিড়িয়াখানার ছবি...
নতুন অতিথি এসেছে আলিপুর চিড়িয়াখানাতেও। গত জুলাইয়ে বিশ্ব সর্প দিবসে বাইরে আনা হল গ্রিন ইগুয়ানা, গোসাপ, শাঁখামুটি সাপের ছানাদের। সেই সময়ই কর্তৃপক্ষ জানান, এই প্রথম আলিপুর চিড়িয়াখানা গ্রিন ইগুয়ানার বাচ্চা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে এদের প্রকাশ্যে আনা হবে। তার আগে, ফেব্রুয়ারি মাসে শাবকের জন্ম দেয় জিরাফ মা তৃণা। মা-ছেলে সুস্থ আছে বলে জানিয়েছিলেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। আবার গত বছর জুলাইয়ে আলিপুর চিড়িয়াখানাতেই জন্ম নেয় নটি অ্যানাকোন্ডা। কর্তৃপক্ষ জানান, দেশের সমস্ত চিড়িয়াখানার মধ্যে সবথেকে বেশি অ্যানাকোন্ডা রয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানাতেই। সংখ্যার ভিত্তিতে দেশের সমস্ত চিড়িয়াখানার মধ্যে এগিয়ে তারাই। নতুন জন্মানো নটি অ্যানাকোন্ডা সুস্থই, জানানো হয়েছিল চিড়িয়াখানা সূত্রে। ২০১৯ সালের জুন মাসে চেন্নাই থেকে আলিপুরে যে চারটি হলুদ অ্যানাকোন্ডা নিয়ে আসা হয়েছিল, প্রথম এক বছর পর তাদেরই আরও সাতটি অ্যানাকোন্ডার জন্ম হয়। সদ্যই চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি আসার পর এখন অ্যানাকোন্ডার সংখ্যা দাঁড়ালো মোট কুড়ি-তে।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে পুরুলিয়ার সিমনি বিটের জঙ্গলে বন দফতরের ট্র্যাপ ক্যামেরায় এক পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘের ছবি ধরা পড়েছিল। যা নিয়ে আতঙ্ক ছড়ায় জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে। বন দফতর জানায়, চিতাবাঘটির অবস্থান নিশ্চিত করতে জঙ্গলের বিভিন্ন প্রান্তে লাগানো হচ্ছে আরও ট্র্যাপ ক্যামেরা।
আরও পড়ুন:কলকাতার ১৩টি ওয়ার্ডকে অতি ডেঙ্গি প্রবণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, আপনার ওয়ার্ড আছে এর মধ্যে?