কমলকৃষ্ণ দে,পূর্ব বর্ধমান: দুর্নীতি,স্বজনপোষণ ও বেনিয়ম নিয়ে এসএফআইয়ের (SFI) বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় (Burdwan University)  অভিযানকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা। বিশ্ববিদ্যালয়ে গেটের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে বিক্ষোভ (Agitation) ও ঘেরাও এসএফআইয়ের । মঙ্গলবার এসএফআই পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির পক্ষ থেকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি,স্বজনপোষণ ও বেনিয়মের অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয় অভিযানের ডাক দেওয়া হয়।বাদামতলা থেকে শুরু করে সেই মিছিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন তথা রাজবাটীর কাছে পৌঁছাতেই গেটে তালা বন্ধ থাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।রীতিমতো তালা ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করে বিক্ষোভ ও ঘেরাও অবস্থানে সামিল হয় এসএফআই কর্মী সমর্থকরা।


প্রসঙ্গত, গত ছিল ভারতের স্বাধীনতা দিবস। আর দিল্লি থেকে দুর্নীতি,স্বজনপোষণ, পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। যদিও সেই রুখে দাঁড়ানোয় ছিল মূলত শান্তির বাণী। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, 'সুযোগ অনেক আছে। মর্যাদাও অনেক আছে। আছে মুশকিলও। অনেক কিছুই আছে, তবুও চেষ্টা চলছে। অনেক কিছু নিয়েই বলার থাকে। তবে, এই সময়ে দাঁড়িয়ে, আজকে আমি দুটি বিষয় এখানে আজ বলব। একটি হল দুর্নীতি। অপরটি 'ভাতিজাবাদ', পরিবারবাদ।' প্রধানমন্ত্রী এরপরেই বলেন, ভারতের মতো লোকতন্ত্রে, মানুষ দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করছে।একদিকে কিছু মানুষ আছেন, যাদের কাছে বাসস্থানটুকু নেই। আবার অন্য দিকে এমন লোক আছেন , যাদের চুরি করা দ্রব্য রাখার জায়গা নেই।' স্থিতি ঠিক নেই বলে জানিয়েছেন এদিন প্রধানমন্ত্রী। তাই এজন্য দু'র্নীতির বিরুদ্ধে পুরো শক্তি নিয়ে লড়তে হবে', বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।


আরও পড়ুন, 'ইডি-সিবিআই-কে তথ্য পৌঁছে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ', বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ


বাইশ সালে দাঁড়িয়ে ঘটে গিয়েছে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দু-দুটি বড় ঘটনা বাংলার বুকে। এক এসএসসি দুর্নীতি নিয়োগ মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার। যেখানে পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে বিপুল নগত টাকা, সোনা উদ্ধার হয়েছে। দ্বিতীয় ঘটনাটি হল গরুপাচার পাচার মামলায় বীরভূমের হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতার। দুজনকেই গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একদিকে নেত্রীর উপর ভরসা রাখলেও নাম না করে,' অভিযোগ প্রমাণ হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হোক', বলেছেন মুখমন্ত্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কারও সাপোর্ট না পেলেও, অনুব্রত গ্রেফতারের পর পরেই মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এই দুইয়ের পাশাপাশি সবথেকে বড় যে ইস্যু রয়েছে, সেটি হল কয়লা পাচার মামলা। যেখানে নাম জড়িয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর সেই 'পিসি-ভাইপো'-র সম্পর্কের ইস্যুতেই ফের নাম না করে নিশানা এল ধেয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রীর থেকেই।