কমলকৃষ্ণ দে,পূর্ব বর্ধমান: শক্তিগড়ের (shaktigarh) ল্যাংচা হাবে (lyangcha hub) তীর্থযাত্রীদের (pilgrims) বাসে (bus) ভাঙচুর (ransack)! অভিযোগের তির মিষ্টি ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের একাংশের বিরুদ্ধে। ল্যাংচার দোকানে পাল্টা ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ তীর্থযাত্রীদের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে উত্তেজনার পরিবেশ।


কী হয়েছিল?


প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, দেওঘর থেকে তীর্থ সেরে টিটাগড় ফিরছিল একটি বাস। শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের সামনে দাঁড়ায় সেটি। কিন্তু তীর্থযাত্রীরা কোন দোকানে ঢুকবে তা নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। অভিযোগ, তার জেরে বাসে ভাঙচুর, বাস লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। যাত্রীদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। অন্য কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের বক্তব্য, ঝামেলা শুরু করেন তীর্থযাত্রীরা। দোকানেও ভাঙচুর চালান তাঁরাই। ল্যাংচার দোকানের কর্মীদের মারধরও করেন বলে অভিযোগ। ঘটনায় দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন জখম। দোকানে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে কিছুক্ষণের জন্য কলকাতামুখী লেন অবরোধ করেন স্থানীয়রা। একাংশের অবশ্য বক্তব্য, ঝামেলার মূল কারণ অন্য। ল্যাংচা হাবের সামনে বাস দাঁড় করানো থেকে অশান্তির শুরু। তার পরই ভাঙচুর চলে।  


অতীতেও বিতর্কের শিরোনামে 'ল্যাংচা হাব' 


বকটুই হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়ার পথে শক্তিগড়ের বিখ্যাত ল্যাংচার দোকানের সামনে বাস থামান বিজেপি বিধায়করা। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় দোকানে দাঁড়িয়ে ল্যাংচা খাচ্ছেন বাঁকুড়ার বিধায়ক নিলাদ্রীশেখর দানা থেকে ,হবিবপুরের জুয়েল মুর্মু  প্রমুখ। সেই ফুটেজ নিয়ে পরে চাঁচাছোলা সমালোচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, 'কিছু দল ল্যাংচা খেতে খেতে ঢুকছে ল্যংচাতে ল্যংচাতে।' ছেড়ে কথা বলেননি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও। পাল্টা ধেয়ে আসে বিজেপির তরফ থেকেও। ভয়ঙ্কর ঘটনার মধ্যেও আলাদা মাত্রা নেয় তরজা-জবাবি তরজা। শিরোনামে উঠে আসে ল্যাংচা হাব।


কয়েক মাসের ব্যবধানে ফের অশান্তির জেরে নতুন করে খবরে শক্তিগড়ের 'মিষ্টি-পীঠ'। 


আরও পড়ুন:অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ভর্তি করা হল SSKM-এর ICCU-তে