রাণা দাস, কাটোয়া (পূর্ব বর্ধমান): রাতের রাস্তায় প্রতিবাদী (Protester) ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন (Death)। প্রতিবেশী মহিলার অসামাজিক কাজকর্মের প্রতিবাদ করায় খুন বলে অভিযোগ পরিবারের। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার (Katwa) নলহাটি গ্রামে। রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ (CCTV footage) দেখে অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police Arrested)।


ঠিক কী হয়েছিল?


প্রথমে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হল রাস্তায়। তারপর রড ও লাঠি দিয়ে চলল বেধড়ক মার! মাত্র ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালাল দুষ্কৃতীরা!!


নৃসংশ এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ১নং ব্লকেরর নলহাটি গ্রামে। মৃতের নাম, মিহির পণ্ডিত, বয়স ৪৫ বছর। বাড়ি, ওই গ্রামেই। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, পাড়ার এক মহিলা তাঁর বাড়িতে অসামাজিক কাজকর্ম চালাতেন। প্রতিবাদ করেছিলেন মিহির। পরিবারের দাবি, তার জেরেই বুধবার রাতে পিটিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। পরিবার সূত্রে খবর, মেলা দেখে ফেরার সময় জগদানন্দপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে মিহিরের পথ আটকায় ২ দুষ্কৃতী। তারপর রাস্তায় ফেলে শুরু হয় রড ও লাঠি দিয় বেধড়ক মার। 


আরও পড়ুন: Rampurhat Violence: পাথর-কয়লা পাচারের টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে খুন? দাবি ভাদু শেখের বাবার


ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রতিবাদীর। রাস্তায় সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে পুরো ঘটনা। প্রতিবাদ করার মাশুল দিতে হয়েছে জীবন দিয়ে। নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে, ফুটেজ দেখে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 


অন্যদিকে নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় শ্রীরামপুর কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপক। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৭ বছরের ওই কিশোরীর বাবা অধ্যাপকের পূর্ব পরিচিত। সম্প্রতি পড়াশোনার জন্য ছোট মেয়েকে অধ্যাপকের বাড়িতে রেখে তিনি কাজের সূত্রে মুম্বই চলে যান। অভিযোগ, সেই সুযোগে নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করেন অধ্যাপক।