কালনা: ‘মুচলেকা’ দিয়ে শীর্ষ নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) কাছে ভুল স্বীকার করল কালনার (Kalna) কাউন্সিলররা (Kalna Councilor)। জানা গিয়েছে, কালনা পুরসভাকাণ্ডে (Kalna Municipality) ক্ষমা চেয়ে চিঠি দিচ্ছেন ১৭ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। বহিষ্কারের পরে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নেতৃত্বকে চিঠি তপন পোড়েলের।  তবে সূত্রের খবর, চিঠি পেয়ে জানানো হয়েছে, তপনকে দলে ফেরানো হবে কিনা, সিদ্ধান্ত নেবে শীর্ষ নেতৃত্ব। ১২ বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কাউন্সিলরের সমর্থনে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন তপন পোড়েল। নেতাজি ইন্ডোরে কালনার কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)।


পূর্ব বর্ধমানের কালনা পুরসভায় (Kalna Councilor) ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল (TMC)। অথচ শক্ত গড়েই, চেয়ারম্যান কে হবেন, তা নিয়ে খোদ রাজ্যের মন্ত্রীর সামনে তৃণমূলের কোন্দল চরমে ওঠে। কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে তৃণমূল কাউন্সিলর আনন্দ দত্তর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু, তাঁকে চেয়ারম্যান মানতে রাজি হয়নি তৃণমূল কাউন্সিলরদেরই একাংশ। এতেই তেতে ওঠে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। ছুটে আসতে হয় খোদ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে। 


আরও পড়ুন: RG Kar Medical College: দুই সংগঠনের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র আরজি কর, আহত বেশ রয়েকজন ডাক্তারি পড়ুয়া


বন্ধ ঘরে ভোটাভুটি শুরু হয়। অভিযোগ, সেই সময় তপন পোড়েলের (Tapan Porel) অনুগামীরা, আনন্দ দত্তর অনুগামী কাউন্সিলরদের ঘরের বাইরে বের করে দেন।বন্ধ দরজায় লাথি মারতে থাকেন আনন্দ দত্ত।কিছুক্ষণ পরে খবর আসে,ভোটাভুটিতে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব যাঁকে চেয়ারম্যান করতে চেয়েছিল তিনি পেয়েছেন মাত্র ৪টি ভোট!আর দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যাঁকে ভাইস চেয়ারম্যান করতে চেয়েছিলেন তিনি পেলেন ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের সমর্থন!অর্থাৎ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের বাছাই করা চেয়ারম্যান পরাজিত হলেন।


যদিও বিকেলে কালনার পুরপ্রধান নির্বাচনকে বাতিল করে দেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক। দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে তপন পোড়েলকে বহিষ্কার করে তৃণমূল।