কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: মাকে খুন (Murder) করে মৃতদেহর পাশে বসে রইল ছেলে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) আউশগ্রামের ধনকোড়া এলাকায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে আউশগ্রাম থানার পুলিশ।


মাকে খুন ছেলের-


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম মনিকা পাল। বছর পঞ্চান্নর মনিকা পালের সঙ্গে তাঁর ছেলে অমর পালের বচসা হয়। রাতে মোবাইল নিয়ে গণ্ডোগোল হয় বলেই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। আর সেই বচসার পরই মাকে খুন করে ছেলে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানা যাচ্ছে, মনিকাদেবীর ছেলে অমর দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। ছোট থেকেই তার মানসিক অসুস্থতার চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে মনিকাদেবীর স্বামী পরিমল পাল রান্নার কাজে পর্যটকদের বাসে অসমে গিয়েছেন। এদিন বাড়িতে শুধু মা ও ছেলে ছিলেন।


আরও পড়ুন - Renu Khatun: আট দিনের কঠিন লড়াই, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন স্বামীর হাতে কব্জি খোয়ানো রেণু


স্থানীয় বাসিন্দারা যা জানাচ্ছেন-


এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এদিন সকালে গ্রামবাসীরা ঘরের মেঝেতে মনিকাদেবীর রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান। মায়ের মৃতদেহর পাশেই বসেছিল ছেলে অমর। দ্রুত তাঁরা খবর দেন পুলিশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আউশগ্রাম থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে তারা দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মাকে খুনের অভিযোগে ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, রাতে মেঝেতে শুতেন মনিকাদেবী। মোবাইল নিয়ে বচসার পর ঘমন্ত মায়ের মাথা মেঝেতে ঠুঁকে খুন করেছে ছেলে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।


অন্যদিকে, আট দিন কঠিন লড়াইয়ের পর গতকাল দুর্গাপুরের (Durgapur) হাসপাতাল (Hospital) থেকে ছাড়া পেলেন স্বামীর হাতে কব্জি খোয়ানো কেতুগ্রামের (Ketugram) রেণু খাতুন (Renu Khatun)। তিনমাস পর কৃত্রিম হাত (Artificial Hand) নিয়ে শুরু হবে তাঁর নতুন লড়াই। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে দিদির বর্ধমানের (Burdwan) বাড়িতে উঠেছেন রেণু।