রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান: রেললাইলে ধস নামার জেরে ব্যাহক হল ট্রেন চলাচল। প্রায় এক ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার পর বেলা ৯টায় 'কশান' দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ঘটনাটি ঘটেছে কাটোয়া -  ব্যান্ডেল - হাওড়া রেললাইনে। ঘটনাস্থলে গিয়ে গোটা বিষয়টি পরিদর্শন করেছেন রেলের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ধস (Landslide) সারাইয়ের কাজ চলছে জোর কদমে।


রেললাইনে ধস-


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া (Katwa) ও দাঁহাটের মধ্যবর্তী অঞ্চল পাতাইহাট বেলতলায় কয়েকদিন ধরেই রেলের আন্ডারপাস তৈরির কাজ চলছিল। গত মঙ্গলবার প্রবল বৃষ্টির জেরে সেখানকার মাটি নরম হয়ে যায়। আপ লাইনের পাশে নরম মাটিতে এদিন ধস নামে। মাটি ধসে গিয়ে রেললাইনে বিপত্তি দেখা দেয়। কাজের সময় সেই ধস রেলের পি ডব্লিউ আইয়ের কর্মীদের নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে কাটোয়া রেলের আধিকারিকদের তাঁরা খবর দেন। আর তারপরই সেই এলাকায় ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থসে রেলের আধিকারিকরা আসেন। রেল লাইনের পাশে মাটির বস্তা দেওয়ার কাজ চলছে জোরকদমে। ধসের জায়গাতেও মাটির বস্তা দেওয়ার কাজ চলছে। এর ফলে কাটোয়া - ব্য়ান্ডেল - হাওড়া রেলপথে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। এদিন প্রায় এক ঘণ্টা এই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। বেলা ৯টার পর এই লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে। রেলের আধিকারিক মুকেশ কুমার এই প্রসঙ্গে বলেন, 'ধস নামার খবর পেতেই পি ডব্লু আই ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এখন কশান দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু করেছে।'


আরও পড়ুন - SBSTC: যাত্রী সুরক্ষায় গাফিলতির অভিযোগ, বর্ধমানে এসবিএসটিসি-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ যুব কংগ্রেসের


প্রসঙ্গত, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে গুমা ও অশোকনগর রোড স্টেশনের মাঝে বিদ্যাধরী খালের সেতুর কাছে রেললাইনে ধস নামে। এর আগে ফের মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও ফরাক্কার মাঝে রেললাইনে ধস নেমেছিল কিছুদিন আগে।  প্রায় ৫০ মিটার এলাকাজুড়ে রেললাইনে ধস নামে। আজিমগঞ্জ-ফরাক্কা লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল যার জন্য়। বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন যাত্রীরা। ঘুরপথে চালানো হচ্ছিল ট্রেন। গত ৩০ জুলাই, এই এলাকায় রেললাইনে ধস নেমেছিল। দ্রুত রেললাইনের মেরামতির কাজ  দ্রুত শুরু হবে বলে আশ্বাস মিলেছে রেল কর্তৃপক্ষের তরফে।