কমলকৃষ্ণ দে ও রানা দাস, কালনা : পূর্ব বর্ধমানের কালনার (Kalna) পুরপ্রধান হিসেবে আনন্দ দত্তের (Ananda Dutta) নামেই সিলমোহর দিল তৃণমূল নেতৃত্ব। যা শুনে একদা বিক্ষুব্ধ নেতা তপন পোড়েলের প্রতিক্রিয়া, দল করতে হলে দলের নির্দেশ সবাইকে মানতে হবে। এই ইস্যুতে শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।


যাবতীয় বিতর্ক-বিদ্রোহের ইতি। শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তেই পড়ল সিলমোহর। কালনার পুরপ্রধান হচ্ছেন আনন্দ দত্তই। রবিবার বর্ধমান শহরে বৈঠক শেষে এমনটাই জানাল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। পূর্ব বর্ধমান তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুরনো সিদ্ধান্ত মতো আনন্দ দত্তই চেয়ারম্যান হচ্ছেন, ভাইস চেয়ারম্যান হচ্ছেন তপন পোড়েল। দলের সিদ্ধান্ত মানতে হবে।


অথচ এই আনন্দ দত্তকে নিয়েই, গত ১৬ মার্চ পুরবোর্ড গঠনের দিন তুলকালাম বেধেছিল কালনায়। তাঁকে পুরপ্রধান হিসেবে মানতে রাজি ছিল না তৃণমূল কাউন্সিলরদেরই একাংশ। যার নেতৃত্বে ছিলেন তপন পোড়েল। খোদ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের সামনে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল।
যার জেরে ভেস্তে যায় বোর্ডগঠন প্রক্রিয়া। 


পুরপ্রধান বিতর্কের জল গড়ায় কলকাতা পর্যন্ত। ২১ মার্চ নেতাজি ইন্ডোরে ১৭ জন তৃণমূল কাউন্সিলরকে নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সূত্রের খবর, সেদিনই ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। ক্ষমা চেয়ে চিঠি দেন তপন পোড়েলও।


এরপরই পুরসভায় বোর্ড গঠন নিয়ে জটিলতা কাটে। তপন পোড়েলকে উপ পুরপ্রধান করার পাশাশাপি, তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তও প্রত্যাহার করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এছাড়া কালনা শহর তৃণমূলের সভাপতি হিসেবেও কাজ করবেন তপন। 


মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা স্বপন দেবনাথ বলেন, দলের সিদ্ধান্ত সবাইকে জানানো হয়েছে, নতুন করে সমস্যা হবে না।


অন্যদিকে, তপন পোড়েল বলেন, দল করতে হলে দলের নির্দেশ সবাইকে মানতে হবে। তবে এই ইস্যুতে শাসক দলকে কটাক্ষ করতে দেরি করেনি বিজেপি। কাটোয়া-কালনা সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুরোটাই প্রথম থেকে নাটক, শপথের দিন আবার নাটক দেখা যাবে, ভাগ বাঁটোয়ারার জন্যই এসব হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার পুরবোর্ড গঠিত হতে চলেছে কালনায়।