কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান : এবার অভিযান। 'আমূল মিষ্টি দই'-এর নির্দিষ্ট ব্যাচের দই বিক্রি বন্ধের নির্দেশিকার পর মঙ্গলবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক ও ডিস্ট্রিক্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা শহরের বিভিন্ন দোকানে যৌথ অভিযান চালালেন। একটি নির্দিষ্ট ব্যাচ নম্বরের উল্লেখ করে ওই ব্যাচের দই আপাতত বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।


পূর্ব বর্ধমানের রায়না ২ ও মেমারি ২ এলাকার দু'টি অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে খাদ্যে বিষক্রিয়া ছড়ায়। এরপর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ খাদ্যের নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠায়। আমূল কোম্পানির দই থেকে বিষক্রিয়া ছড়ানোর প্রমাণ মেলে। তাই আপাতত জেলার ওই বহুজাতিক কোম্পানির যাঁরা ডিস্ট্রিবিউটর আছেন এবং রিটেলার বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আছেন, তাঁদের ওই সংস্থার সংশ্লিষ্ট প্রোডাক্টের ব্যাচ নম্বর ‘কেপিভি৩৬৫৩’ এর  ব্যাচের দই আপাতত বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।আ


সোমবার ওই নির্দেশ জারি করা হয়। এরপর মঙ্গলবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক ও ডিস্ট্রিক্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা যৌথভাবে বর্ধমান শহরের বিভিন্ন দোকানে যেখানে ওই নামী সংস্থার দই বিক্রি হয় সেখানে অভিযান চালান। ওই দোকানগুলিতে 'কেপিডি ৩৬৫৩' ব্যাচ নম্বরের কোনও দই বিক্রি হচ্ছে কি না তা দেখার জন্য।


আমূল। যার খ্যাতি গগনজোড়া। এরাজ্যেও তার পসার কম নয়। এই সংস্থার যে কোনও প্রোডাক্ট...তা সে মাখন হোক, আইসক্রিম বা মিষ্টি দই-সব প্রোডাক্টেরই সারা বছর চাহিদা থাকে আকাশছোঁয়া। বাঙালি মধ্যবিত্তের পরিবারে তো বটেই, এর পাশাপাশি এখন অনুষ্ঠানবাড়িতেও জায়গা করে নিয়েছে এই সংস্থার বিভিন্ন প্রোডাক্ট। বিশেষ করে আইসক্রিম ও মিষ্টি দই। শেষ পাতে আমূলের এই দুই প্রোডাক্টের মধ্যে কোনও একটি না থাকলে যেন প্রাণ জোড়ায় না। আর সেই সংস্থার প্রোডাক্ট ঘিরে এখন যত বিতর্ক পূর্ব বর্ধমানে। যা নিয়ে এবার জেলা প্রশাসনের তরফে তৎপরতা শুরু হল। এই জল এখন কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার। 


প্রসঙ্গত, গত বছর জুন মাসে প্রয়াত হন আমূল গার্ল (Amul Girl)-এর স্রষ্টা সিলভেস্টর ডাকুনহা (Sylvester daCunha)। বিজ্ঞাপনী জগতের কার্যত মহীরুহ পতন হয় তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে। মজার মোড়কে আমূল গার্লকে প্রথম বিজ্ঞাপনের পর্দায় এনেছিলেন তিনিই। মাখন-এর এমন অভিনব বিজ্ঞাপন মন ছুঁয়েছিল সবারই। পেন্সিল স্কেচে প্রথম আমূল গার্লকে (Amul Girl)-কে ফুটিয়ে তুলেছিলেন এই সিলভেস্টর ডাকুনহা।