রানা দাস, কাটোয়া: কালীপুজো (Kalipujo 2021) দিতে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা। আর সেই সুযোগেই দিনে-দুপুরে এক ব্যবসায়ীর(Bussinesman) বাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকার সোনা ও হীরের গয়না চুরি গেল (Theft Case)। কাটোয়ার (Katwa) ঘটনা। শহরের ভেতরে দিনে-দুপুরে  চুরি হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, কাটোয়া স্টেশন রোডের (Katwa) দাস পরিবারের গৃহবধূ তার দুই ছেলে ও শাশুড়ি কে নিয়ে কালীমন্দিরে (Kali mandir) পুজো দিতে গিয়েছিলেন এদিন। 


যখন বাড়িতে ফিরেছেন ততক্ষণে সব শেষ। পরিবারের লোক বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন বাড়ির দরজার তালা ভাঙা। এর পরে ঘরে গিয়ে দেখা যায় আলমারি সর্বস্ব চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খোয়া গিয়েছে লক্ষাধিক টাকা, হীরের গয়না ও সোনার গয়না। খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় কাটোয়া থানার পুলিশ (Katwa Police Station)। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার তদন্ত শুরু হয়েছে। 


তবে ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। পুলিশের (Katwa Police) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা নিয়েও। সাধারণ মানুষের বক্তব্য দিনের বেলায় যদি এইভাবে চুরি হয় তাহলে রাতের বেলায় আরও ভয়াবহ ঘটতে পারে। এ নিয়ে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। 


২০০ বছরের পুরনো দুর্গামন্দিরে (Durga Mandir) চুরির ঘটনা ঘটল। শীত পড়তে না পড়তেই একই রাত্রে পাশাপাশি দুটি মন্দিরে চুরি হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapur) বেলদা থানা এলাকায়। জানা গেছে খটনগর গ্রামে প্রায় ২০০ বছরের পুরনো পঞ্চদুর্গামন্দিরে রবিবার ভোর রাতে স্থানীয় গ্রামবাসীরা দেখতে পান মন্দিরের তালা ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মন্দিরের দরজা খুলে তাঁরা দেখেন দুর্গা মায়ের মাথার মুকুট সহ একাধিক গয়না চুরি গিয়েছে। যার মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা।


একই সঙ্গে পাশের রানীপুর গ্রামে একটি জগন্নাথ দেবের মন্দিরেও চুরির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার গহনা ও প্রণামী বাক্স খোয়া গিয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ এলাকার স্থানীয় ভিলেজ পুলিশ ও সিভিক পুলিশদের টহলদারী না থাকার কারণে এইভাবে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার খবর পেয়ে দুটি মন্দিরে তদন্তে আসে বেলদা থানার পুলিশ। একই দিনে পরপর পাশাপাশি দুটি গ্রামে মন্দিরে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।