রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান : প্রতিবাদের মাশুল। পূর্ব বর্ধমানের (Purba Burdwan) কাটোয়ায় (Katwa) একদল মত্ত যুবকের (Drunk Youths) হাতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক ক্রিকেটারের (Cricketer)। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিশ (Police)। জানা গিয়েছে, সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja) রাতে পাড়ায় গন্ডগোল বাঁধে। যেখানে মত্ত যুবকদের বাধা দেওয়ার খেসারত দিতে হল প্রতিবাদীকে। বেধড়ক মারে প্রাণ গেল এলাকার পরিচিত ক্রিকেটার তথা অস্থায়ী পুরসভার কর্মী (Temporary Municipal Worker) পার্থ ঘোষের। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার নন্দলাল বসু পাড়ায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সরস্বতী পুজোর রাতে একদল মত্ত যুবক পাড়ায় ঢুকে ঝামেলা শুরু করে। এর প্রতিবাদ করলে পার্থ ঘোষ নামে ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। গুরুতর অবস্থায় ওই যুবককে প্রথমে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল, পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সেখানেই বৃহস্পতিবার ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেল হেফাজতে রয়েছে ধৃতরা।
এদিকে, কিছুদিন আগে কালীপুজোর দিন রাস্তায় বাইক রাখার প্রতিবাদ করায় পুলিশের সঙ্গে বচসার জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায় তৃণমূল নেতার ভাইকে মারধরের অভিযোগ ওঠে এসআইয়ের বিরুদ্ধে। কবজি, পাঁজর-সহ চার জায়গায় ভেঙেছে হাড়, দাবি করে আক্রান্তের পরিবার। ঘটনার সূত্রপাত কালীপুজোর দিন। আক্রান্তের পরিবারের দাবি, রাস্তা আটকে দাঁড় করানো ছিল মহেশতলা থানার এসআই আবুল মারজানের বাইক। এর প্রতিবাদ করেন মহেশতলা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য সুকান্ত বেরার ভাই সুমন্ত। অভিযোগ, তার জেরে এসআই সুমন্তকে চড় মারেন। এরপর দু’ পক্ষের হাতাহাতি শুরু হলে, প্রতিবাদীকে থানায় নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, সরকারি কাজে বাধা, উর্দিধারী পুলিশকে নিগ্রহের অভিযোগ-সহ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হলেও আক্রান্তের শারীরিক অবস্থা বিচার করে তাঁকে জামিন দেয় আলিপুর আদালত। বর্তমানে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি তৃণমূল নেতার ভাই। আজ তাঁর অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন- ইঁদুর মারার বিষ থেকেই বিপত্তি! একই পরিবারের ২ শিশুর মৃত্যু, অসুস্থ ৪