রাণা দাস, কাটোয়া : এ যেন এক অভিনব বিজয়া। দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে বিজয়ার শুভেচ্ছা সারছেন রাজ্যের মন্ত্রী, সঙ্গে করাচ্ছেন মিষ্টিমুখও। স্বপন দেবনাথ তাঁর সাইকেলের সামনে লাগিয়েছেন প্ল্যাকার্ড। যেখানে লেখা 'বড়দের বিজয়ার প্রণাম ও ছোটদের ভালবাসা'। তবে শুধু শুকনো মুখেই শুভেচ্ছা নয়। মিষ্টিমুখও সঙ্গী হচ্ছে পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভার বাসিন্দাদের। সাইকেলের সামনে থাকা ক্যারিয়ারে রীতিমতো প্যাকেট ভরে লাড্ডু নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। করোনাকালের কথা মাথায় রেখে দূরত্ববিধি বজায় রেখেই চলছে যে বিজয়াপর্ব। সঙ্গে আবার লাড্ডুর সঙ্গে উপহার হিসেবে মন্ত্রী দিচ্ছেন মাস্কও।
পূর্বস্থলী ১ ব্লকের শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের হেমায়েতপুর গ্রাম থেকে সাইকেল চালিয়ে বিজয়ার শুভেচ্ছেযাত্রা শুরু করেছেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। বিজয়ার পর থেকেই গত তিনদিন ধরে বিজয়ার এই অভিনব শুভেচ্ছাবার্তা জানানোর কাজ চালাচ্ছেন তিনি। যদিও রাজ্যের শাসকদলের বিধায়কের বিজয়ার মাধ্যমে চালানো এই জনসংযোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে রাজ্যের মন্ত্রীর এই শুভেচ্ছা জানানোর পদ্ধতিকে নাটক বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। যদিও বিরোধীদের কথা নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ স্বপন দেবনাথ।
বরং করোনাকালের মাঝে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের বিষয়ে নজর দেওয়ার কথাই বলেছেন তিনি। কয়েকদিন আগেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করে জানানো হয়েছিল, করোনাকালের কথা মাথায় রেখে অন্যবারের মতো চেনা কোলাকুলিতে নয় বরং দূর থেকে হাত জোড় করে নমস্কারেই এবারের বিজয়া সারা শ্রেয়।
আরও পড়ুন- 'আবার এসো মা', প্রিয়জনকে পাঠান বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা
কয়েকদিন আগেই বিজয়ার দিনে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গবাসীকে দশমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, "মা গো তুমি আবার এসো আলোর খবর নিয়ে, শান্তি-সম্প্রীতি-ঐক্য বাঁচুক বাংলার হৃদয়ে। মা দুর্গার বিদায়বেলায় আজ সবার মন ভারাক্রান্ত। ভুবনমোহিনী মায়ের আশীর্বাদে বাংলায় অক্ষুণ্ণ থাকুক সম্প্রীতির সুর। শুভ বিজয়া দশমীর আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা।"