পূর্ব বর্ধমান: পরিকল্পনা করেই মাকে খুন করেছিল ছেলে। আগেই খুঁড়ে রেখেছিল ঘরের মেঝে। সেখানেই ২ বছর আগে মাকে পুঁতে রাখে বর্ধমানের হটু দেওয়ানের বাসিন্দা সইদুল ইসলাম ওরফে নয়ন। মায়ের খুনে অভিযুক্ত সেই ছেলেকে নিয়ে এবার তল্লাশি শুরু করল পুলিশ। বর্ধমানের হটু দেওয়ানে ছেলের ঘরের মেঝে খুঁড়ে উদ্ধার হল খুলি ও হাড়। মিলল খুনে ব্যবহৃত মুগুর।  খুনের কথা ছেলে কবুল করার পর, আজ ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার ঘরের মেঝে খুঁড়ে মায়ের দেহ উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণও করাবে পুলিশ। সম্প্রতি বনিবনা না হওয়ায়, সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান সইদুলের স্ত্রী। তিনিই ফাঁস করেন স্বামীর কীর্তি। 


মায়ের ঘন ঘন বেড়াতে যাওয়া পছন্দ ছিল না। সেই কারণে মা-কে খুনের পর ঘরের মেঝেতে পুঁতে রেখে দুই বছর সেই ঘরেই বসবাস করছিল 'গুণধর' ছেলে। এই অভিযোগে গতকাল অভিযুক্ত ছোট ছেলেকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। পুলিশি জেরায় সে খুনের কথা স্বীকার করেছে। ধৃতের নাম নয়ন আলি শেখ। মৃতার নাম সুকরানা বিবি(৫৮)। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বর্ধমান থানার পুলিশ খুনের মামলায় তদন্ত শুরু করেছে। বর্ধমান থানার হটুদেওয়ান পীরতলা ক্যানেলপাড় এলাকার ঘটনা। ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এ দিকে মাটি খুঁড়ে মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য বর্ধমান আদালতের দ্বারস্থ পুলিশ। 


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুকরানা বিবি তাঁর ছোট ছেলে শেখ নয়ন আলির সঙ্গে থাকতেন। সুকরানা বিবি খুব বেড়াতে ভালোবাসতেন। মাঝেমধ্যেই তিনি বেড়াতে বেরিয়ে পড়তেন। হঠাৎই ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান সুকরানা বিবি। খোঁজ না পেয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি সুকরানার বড় ছেলে শেখ কিসমত আলি বর্ধমান থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মায়ের বেড়াতে যাওয়া পছন্দ ছিল না অভিযুক্ত ছেলের। বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও মা তা শোনেননি।