কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: সরষের তেলের পর নকল মোবিলের বিরুদ্ধে অভিযান, বুধবার অভিযান চালালো জেলা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট। বর্ধমানের বাঁকুড়া মোড় এলাকায় বেআইনিভাবে তৈরি নকল মোবিল মজুত করে বিক্রি করার অভিযোগ ওঠে। বাঁকুড়া মোড় এলাকার একটি পেট্রোলিয়ামজাত দোকানে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমানে মজুত করা নামী কোম্পানির লেবেল লাগানো নকল মোবিল। 


গোপনসূত্রে খবর পেয়ে বুধবার জেলা পুলিশ ও এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১১০ লিটার নকল মোবিল বাজেয়াপ্ত করেছে। এই ঘটনায় দোকানের মালিককে আটক করেছে পুলিশ। জেলা এনফোর্সমেণ্ট ব্রাঞ্চ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোবিলের সঙ্গে ভেজাল উপকরণ মিশিয়ে নামী কোম্পানির প্লাস্টিকের কৌটোয় ভরার পরে নতুন লেবেল লাগিয়ে বাজারে বিক্রি হত। 


ওই দোকান থেকে ২টি ১৫লিটার, ৩টি ১০লিটার, ৪টি ৫লিটার ও ১লিটারের ২৩টি মোবিল ভর্তি প্লাস্টিকের ক্যান বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বেশ কয়েকমাস ধরে নকল মোবিল বিক্রি করা হচ্ছে বাঁকুড়া মোড়ের এই দোকানে। এই ঘটনায় একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে এনফর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।


কিছুদিন আগে গোপনসূত্রে খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে বেআইনি বিদেশি মদ উদ্ধার করে উত্তর দিনাজপুর জেলা আবগারি দফতর।  রায়গঞ্জের বারোদুয়ারী এলাকায় একটি বাড়ির গুদাম ঘর থেকে প্রায় সাড়ে তিনশো পেটি মদ উদ্ধার করা হয়েছিল।


গোটা অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা আবগারি দফতরের অতিরিক্ত সুপার সৌভিক বসাক। পাশাপাশি এলাকার আরও একটি গুদামঘরে তল্লাসি চালান আবগারি দফতরের আধিকারিকেরা। যদিও সেই গোডাউনে মদ উদ্ধার হয়নি। আবগারি দফতরের আধিকারিকদের অনুমান তল্লাসির খবর পেয়ে আগেভাগেই মদেরপেটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। দফতরের  অতিরিক্ত সুপার সৌভিক বসাক বলেন, তল্লাশি চালিয়ে প্রায় চল্লিশ লক্ষ টাকার বেআইনি মদ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মদ আসল না নকল তা জানতে নমুনা পাঠানো হয় ল্যাবরেটরিতে।


কিছুদিন আগেই  পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে শিলিগুড়ির (Siliguri) তৃণমূল (TMC) নেতার বাড়িতেই নকল মদ নির্মানের খবর এসেছিল দাবি করেছিল বিহার পুলিশ। অভিযুক্ত নেতাকে জেরা করে এই তথ্য জানার পর, তাঁর শিলিগুড়ির বাড়িতে অভিযান চালায় বিহার পুলিশ।


বাজেয়াপ্ত করে স্পিরিট বোঝাই ৯০টা ড্রাম, কাচের বোতল বোঝাই ৩০টা কার্টন ও ৫০টা খালি ড্রাম। পুলিশের দাবি, তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া স্পিরিটের বাজার মূল্য আনুমানিক ৪০ লক্ষ টাকা। বিহারে মদ পাচারের অভিযোগে ১৯ জুলাই বিহার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন ফাঁসিদেওয়ার বিধাননগর এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি।