রাণা দাস, পূর্বস্থলী (পূর্ব বর্ধমান) : পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আগে শাসকদলে অন্তর্দ্বন্দ্ব। দলের পঞ্চায়েত উপ প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA)। পাল্টা বিধায়কের নাম মুখে আনতে নাকি তাঁর ঘেন্না করে বলে মন্তব্য করেন উপ প্রধান। আর এই তরজা ঘিরে পূর্বস্থলীতে (Purbasthali) তৃণমূলে ফাটল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। পূর্বস্থলী পঞ্চায়েতের একটা কটেজ তৈরিকে কেন্দ্র করে এই দ্বন্দ্ব !


দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে-


একসময় দু'জনে ছিলেন হরিহর আত্মা। পূর্বস্থলীর উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় ও পূর্বস্থলী পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পঙ্কজ গাঙ্গুলি। আজ দু'জনেই একে অপরের নাম মুখে উচ্চারণ করেন না। একাধিকবার তাঁদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এবার একটি কটেজ তৈরিকে কেন্দ্র করে বিধায়ক ও উপপ্রধানের দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছাল।


পূর্বস্থলী পঞ্চায়েত চুপি পাখিরালয়কে কেন্দ্র করে একটি কটেজ তৈরির কাজ শুরু করেছে । সেই কটেজ তৈরি ও তার লিজ নিয়ে উপপ্রধান পঙ্কজ রায় দুর্নীতি করছেন বলে জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। শুধু বিধায়কই নন, তাঁর অনুগামী ছয় পঞ্চায়েত সদস্যও একই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপপ্রধানের বিরুদ্ধে মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন। আর এনিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের অন্দরে শুরু হয়েছে কাদা ছোড়াছুড়ি ।


উপ প্রধানের বক্তব্য, পঞ্চায়েতে কোনও দুর্নীতি হয়নি। বিধায়কের দিকে ইঙ্গিত করে তাঁর মন্তব্য, যে চিনি খায় সে সব সময় মনে করে সবটাই চিনি। বিধায়কের মাথায় গোবর ঢোকানো আছে। তাই তিনি এসব করেছেন । যে সব সদস্য অভিযোগ করেছেন, তাঁরা বিধায়কের চামচা বা ভয়ে এসব করেছেন বলেও অভিযোগ উপপ্রধানের। 


অন্যদিকে বিধায়কের বক্তব্য, ওই কটেজ তৈরি করতে ৪৫ লক্ষ টাকা খরচ হয় না। সদস্যদের না জানিয়ে উপপ্রধান বেআইনিভাবে এসব করছেন ।


তবে বিধায়ক আর উপপ্রধান একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও মুখে কেউ কারও নাম উচ্চারণ করেননি। উপপ্রধান পঙ্কজ গাঙ্গুলির বক্তব্য, দলের বিধায়কের নাম মুখে আনতে তাঁর ঘেন্না লাগে।


অন্যদিকে বিধায়কের বক্তব্য, উপপ্রধানের নাম মুখে আনতে তাঁরও ঘেন্না লাগে, তাঁর নাম তিনি করবেন না। 


পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই দ্বন্দ্ব মেটে কি না সেটাই এখন দেখার।


আরও পড়ুন ; DSP-তে দাদাগিরির অভিযোগ, ৭ শ্রমিক নেতাকে বহিষ্কার করল INTTUC