রাণা দাস, বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: সেচ দফতরের (Irrigation Department) কাজে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে সরব হলেন কাটোয়ার (Katwa) তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। নদীর বালি বস্তায় পুরে, নদীবাঁধের ভাঙন ঠেকানো নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। যদিও সেচমন্ত্রীর দাবি, নিয়ম মেনেই কাজ হচ্ছে। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, না জেনে কথা বলছেন কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক। 


নদীবাঁধ মেরামতিতে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ। তৃণমূল বিধায়কের নিশানায় সেচ দফতর। তৃণমূল বিধায়ককে কটাক্ষ করলেন সেচমন্ত্রী। পুজোর আগে লাগাতার বৃষ্টিতে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া পুরএলাকায় অজয়ের বাঁধে ভাঙন শুরু হয়। প্লাবিত হয় কয়েকশো একর কৃষিজমি। কাটোয়া শহর বানভাসি হওয়ার আশঙ্কায় অজয়ের বালি তুলে বাঁধ মেরামতি শুরু করে সেচ দফতর। 


কাটোয়া পুরসভা (Katwa Municipality  এলাকায় অজয় ও ভাগিরথীর সঙ্গমস্থলে ভাঙন শুরু হয়েছে। বালির বস্তা ফেলে ফেলে চলছে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা। কাজে টাকা জলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পুরপ্রশাসক থেকে এলাকাবাসীদের একাংশ।


কাটোয়া শহরের বাসিন্দা গুরু বারুই জানান, 'বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধ মানে টাকা নষ্ট। সব বালি ধুয়ে বেরিয়ে যাবে।'


তৃণমূল নেতা ও  কাটোয়া পুরসভার প্রশাসক জানিয়েছেন, কাটোয়া পুরসভা এলাকার ১, ১৫, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের অজয় নদের বাঁধের নিচে নদীর ভাঙন ঠেকাতে যে বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে, তা স্থায়ী হবে না। কাটোয়া শহর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেচ দফতরের কাজ নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল বিধায়কও।


কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, সেচ দফতরের অফিসাররা দীর্ঘদিন ধরে এই ভাঙন দেখছেন। তা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেননি। এখন এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছে। সাধারণ মানুষের চাপে এখন মুখ রক্ষা করতে সেচ দফতর বালি দিয়ে ব্যবস্থা করছে। এটা এক প্রকার টাকা নয়ছয়। কিন্তু এখন এটা ছাড়া উপায়ও নেই। সেচ দফচর আগে ব্যবস্থা নেয়নি বলে এখন এই অবস্থা। 


তৃণমূল বিধায়কের কাঠগড়ায় সেচ দফতর। পাল্টা জবাব সেচমন্ত্রীর। সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র জানয়েছেন, এই অভিযোগ ঠিক নয়। নিয়ম মেনেই কাজ হচ্ছে। উনি কিছু জানেন না বলেই বলছেন। উনার কিছু বলার থাকলে আমাকেই তো বলতে পারতেন।



কাটোয়া মহকুমার সেচ আধিকারিকের বক্তব্য, যেভাবে মাটিতে ধস নামছে, তাতে বালির বস্তা দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে স্থায়ী ভাবে বাঁধ মেরামতির প্রস্তাব পাঠানো হবে।