রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: রাজধানী এক্সপ্রেসে (rajdhani express) বিপুল বিদেশি সোনা (foreign gold) পাচারের (smuggle) ছক (conspiracy) বানচাল করল শুল্ক দফতর ও আরপিএফ (RPF)। বর্ধমান স্টেশন (bardhaman station) থেকে উদ্ধার প্রায় ৩ কেজি সোনার বাট। সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের মেরঠের দুই যুবকের থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩টি সোনার বাট ।


কী ঘটেছিল?
শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে। রাজধানী এক্সপ্রেসে যে বিপুল পরিমাণ সোনা পাচার হতে পারে, সে খবর আগে থেকেই আরপিএফ ও শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের কাছে ছিল। খোঁজ পেয়ে শিয়ালদা-অমৃতসর এক্সপ্রেস ও হাওড়া-নিউ দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসে তল্লাশি চালান তাঁরা। সেখানেই প্রথমে উত্তরপ্রদেশের মেরঠের এক বাসিন্দাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁকে তল্লাশি করে উদ্ধার হয় বিদেশি সোনা। এতেই শেষ নয়। আরপিএফ সূত্রে খবর, ওই যুবকের থেকে পাওয়া তথ্য়ের ভিত্তিতেই তাঁরা জানতে পারেন যে, সন্ধের দিকে রাজধানী এক্সপ্রেসে আরও সোনা পাচার হওয়ার কথা। এর পরই সাদা পোশাকে ওই চত্বরে পৌঁছে যায় পুলিশ। ছিলেন আরপিএফ ও শুল্ক দফতরের আধিকারিকরাও। সেখান থেকে যাকে পাকড়াও করা হয়, সেও মেরঠের বাসিন্দা বলে খবর। কোমরের বেল্টের মধ্যে দিয়ে সে সোনা পাচার করছিল বলে খবর। সব মিলিয়ে মোট ৩ কেজি বিদেশি সোনার বাট পাওয়া গিয়েছে যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। তবে এত সোনা কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, কী উদ্দেশ্য ছিল সবই তদন্তে খতিয়ে দেখা হবে। 


হালেই গ্রেফতার তৃণমূল নেতার ছেলে...
গত মাসের শেষ দিকে সোনা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূল নেতার ছেলে ! বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের ছেলের সঙ্গে শ্যালক-ও গ্রেফতার হয়েছিলেন সে বার। বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের ছেলে এবং শ্যালককে গ্রেফতার করে ডিআরআই। ৪ কেজি সোনা বাজেয়াপ্তের মামলায় তৃণমূল নেতার শ্যালককেও জেরা করা হয়। রাজধানী এক্সপ্রেসে সোনা পাচারের অভিযোগে, তৃণমূল নেতার শ্যালককে জেরা করে শঙ্কর আঢ্যের ছেলে গ্রেফতার করে ডিআরআই। গ্রেফতারের পর দফায় দফায় জেরা। সোনা পাচারের অভিযোগে তৃণমূল নেতার ছেলে-শ্যালককে গ্রেফতার করে ডিআরআই। ‘তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যের ছেলে-শ্যালক শুভ, অমিত-ই সোনা পাচারের কিংপিন’ আদালতে তৃণমূল নেতার ছেলে-শ্যালককে পেশ করে দাবি ডিআরআইয়ের। ডিআরআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূল নেতার শ্যালক অমিত ঘোষ। 


আরও পড়ুন:প্রথম টেস্টে নেই রোহিত, সিরিজ থেকেই ছিটকে গেলেন শামি-জাডেজা