কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: বাইক (Motorbike) চুরি (theft) চক্রের তিন পাণ্ডাকে গ্রেপ্তার (arrest) করল পুলিশ (police)। আউশগ্রাম (Purba Bardhaman) থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাদের। উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া ১২টি বাইক।


কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর,গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভাল্কি থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি চোরাই বাইকও উদ্ধার হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গা থেকে আরও এগারোটি চোরাই বাইক উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান বাইকগুলি চুরি করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করতো। কিন্তু কাদের? চুরির বাইক উদ্ধারের জন্য তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। আজ ধৃতদের পুলিশি হেফাজত নেওয়া হবে।


আগেও এক ঘটনা...
বাইকচুরি চক্রের নানা ঘটনা আগেও সামনে এসেছে এই রাজ্যে। গত জুলাইয়েই যেমন মোটরবাইক চুরি চক্রের আরও এক পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছিল লেকটাউন থানার পুলিশ। উদ্ধার হয়েছিল ৫টি বাইক। সব মিলিয়ে ওই পর্বে গত পাঁচদিনে ৬টি চোরাই বাইক উদ্ধার হয়। ২৩ জুন, লেকটাউনের জয়া সিনেমা হলের সামনে একটি বাইক চুরি যায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বাইক চুরি চক্রের তিন পাণ্ডাকে চিহ্নিত করে পুলিশ। ১ জুলাই সৌরভ ঘোষ ও গতকাল অভিজিৎ কাহার নামে চক্রের দুই পাণ্ডাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বাইক চুরি করে ভিনরাজ্যে পাচার করা হত বলে পুলিশের দাবি। আর কারা এই চক্রে জড়িত তারও খোঁজ শুরু হয়। জুলাইয়ের শেষে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় একটি ঘটনা ঘটে। সেই সময় বাইক চুরির একগুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়েছিল খড়্গপুর লোকাল থানায়। কে কী ভাবে বিষয়টি করছে, জানতে তক্কে তক্কে ছিল পুলিশ। সেই সূত্রেই কয়েক দিন আগে হাতেনাতে ধরা পড়ে শেখ মতি। পুলিশের দাবি, তার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি চুরি যাওয়া বাইকের হদিস পাওয়া গিয়েছিল। তার পর গত রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ২৭টি বাইক উদ্ধার করা হয় বলে জানায় খড়্গপুর লোকাল থানা। সবকটিই চুরি যাওয়া বাইক। কী ভাবে এই বাইকগুলি তাদের আসল মালিকের কাছে পৌঁছনো হবে, সে দিকটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কিন্তু প্রশাসনের নাকের ডগায় এত দিন ধরে এই কাজ চলল কী করে? বাইক উদ্ধারের পরও সেই প্রশ্ন কিন্তু উঠেছিল। তার পর আবার সেপ্টেম্বরে ডানকুনি থানা এলাকায় এক ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় ওই এলাকায় বাইক চুরির ঘটনা ঘটছিল। দিল্লি রোড, বা দুর্গাপুর রোডে রাস্তার ধারে রাখা বাইকগুলিই বেশি চুরি হচ্ছিল। স্থানীয়  থানায় বেশ অনেকগুলি বাইক চুরির অভিযোগও জমা পড়ে।  তদন্তে নেমে পুলিশ হাওড়া ডোমজুড় এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে সেই সম। সেই সঙ্গে তাদের থেকে উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া দশটি বাইক। তাদের সাতদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে ডানকুনি থানার পুলিশ। 


আরও পড়ুন:নজরে কোহলি, রাহুল, জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি ভারত