রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ। কাজ না হওয়ায় কালনার দুই নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। বহিষ্কার করলেও মচকাচ্ছেন না নির্দলরা। অন্যদিকে টিকিট না পেয়ে, অভিমানে গান-বাজনায় ডুব দিলেন কাটোয়ায় প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর।


কালনার তৃণমূল নেতা সন্দীপ বসু বলেন, "বিনয়দাকে বোঝান, বলুন একটু। আমরা বিনয়দার কাছে ছিলাম, আছি থাকব। কোনও সন্দেহ নেই।" অন্যদিকে, কালনার তৃণমূল কংগ্রেসের শহর সভাপতি তপন পোড়েল বলেন, "দল যে কোনও শর্ত মানতে রাজি। যে কোনও শর্তের বিনিময়ে উনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিন।" মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য, খোদ নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে পৌঁছে গেছিলেন তৃণমূলের শহর সভাপতি।


প্রার্থীকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের এভাবেই হাতজোড় করে অনুরোধ করা হয়। আবেদনের পরও কাজ না হওয়ায়, পূর্ব বর্ধমানের কালনার ২ নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি  রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "কালনার দুজন যাঁরা তৃণমূলে ছিলেন তাঁদের মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য বলা হয়। কর্ণপাত না করায় বহিষ্কার করা হয়েছে।" 


তৃণমূলের কড়া নির্দেশের পরও, মচকাচ্ছেন না নির্দলরা। কেউ মই, কেউ আবার সূর্য চিহ্ন নিয়ে দাঁড়িয়ে তৃণমূল প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন। কালনা পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী অভিজিৎ দলুই বলেন, "আমি এখন তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত নই।  কে বহিষ্কার করল ওই নিয়ে ভাবছি না। বয়স্কদের অনুমতি নিয়ে আমি দাঁড়িয়েছে।"                         


কালনায় নির্দলরা তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ালেও, কাটোয়ায় আবার অন্যরকম পরিস্থিতি। টিকিট না পাওয়ার পর থেকে নিষ্ক্রিয় কাটোয়ার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর। আপাতত গান-বাজনায় ব্যস্ত রয়েছেন সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, ওই ওয়ার্ড সংরক্ষিত থাকার কারণে এই নেতাকে টিকিট দেওয়া হয়নি।