কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: ফের ভিন রাজ্যে মর্মান্তিক মৃত্যু (Tragic Death)বাংলার ২ পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Workers)।
শৌচাগারের চেম্বারে পড়ে গিয়েই মারা যান দুজন, জানাচ্ছে কেরল (Kerala) প্রশাসন। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটল কী ভাবে? নেপথ্যে যে কারণ উঠে এসেছে তা শুনে কার্যত শোক প্রকাশের শক্তিটুকুও হারিয়েছে আলমাস শেখ ও আশরাফুল শেখের পরিবার।
ফিরে দেখা...
আলমাস ও আশরাফুল দুই ভাই। আদতে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের এরুয়ারের বাসিন্দা দুজন মাসতিনেক আগে কাজের সূত্রে কেরলের মালাপ্পুরম জেলার তিরুরে গিয়েছিলেন, জানিয়েছে পরিবার। সঙ্গে ছিলেন ইব্রাহিম শেখ নামে আরও এক জন। তিন জনই পেশায় নির্মাণ শ্রমিক।
কী হয়েছিল?
মৃতদের পরিবারের দাবি, সোমবার সন্ধ্যায় তাঁদের ফোন করে দুর্ঘটনার কথা জানান আলমাস-আশরাফুলের সঙ্গীরা। বলেন, ইব্রাহিমের পকেটে থাকা প্রায় পনেরো হাজার টাকা কোনও কারণে শৌচাগারের সেপটিক চেম্বারে পড়ে গিয়েছিল। সেই টাকা উদ্ধার করতে গিয়েছিলেন আলমাস ও আশরাফুল। আর উঠতে পারেননি। তলিয়ে যান সেখানেই। গোটা ঘটনায় শোকস্তব্ধ আলমাস-আশরাফুলের পাড়া-পড়শিরা।
ভিন রাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু নতুন নয়। গত এপ্রিলে বেঙ্গালুরুতে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যান মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার প্রদীপ ডাঙা বেলতলা পাড়া এলাকার বাসিন্দা কবিরুল শেখ। বছর কুড়ির ওই শ্রমিক কাজের একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির পাইপ লাইনে কাজ করছিলেন। সেই সময়ই কোনওভাবে বিদ্যুতের তারের উপর পড়ে যান। তাঁর হাতে ছিল লোহার পাইপও। তরুণের অকালমৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছিল সে সময়েও।
পরিবার জানিয়েছ, ভাতারের আলমাস ও আশরাফুলের বয়সও তিরিশের আশপাশে। অর্থাৎ একের পর এক তরতাজা প্রাণের মৃত্যু চলছে। কিন্তু কেন? সামান্য বেশি উপার্জনের জন্য কেন এই ভাবে অকালে চলে যেতে হচ্ছে তাঁদের?রাজ্যে কি তবে যথেষ্ট কাজের সুযোগ নেই? দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে ফের প্রাসঙ্গিক প্রশ্নটি।
আরও পড়ুন:মোমের মূর্তিতে 'ফিরলেন' বাবা, বাঁধভাঙা আবেগ কনের