ওয়ারাঙ্গল: এভাবেও ফিরে আসা যায়? হয়তো আপনি বলবেন, এতো ফিরে আসা নয়। কিন্তু বিয়ের পিঁড়িতে বসার ঠিক আগের মুহূর্তে কনের(bride) বেশে থাকা মেয়েটি কি অত কিছু ভেবেছিল? তাঁর দু'চোখে শুধু জল। দুঃখের আবার আনন্দেরও (emotional)। বাবা (father) অনেক আগে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। কিন্তু বিয়ের(marriage) সময়ে এভাবে ফিরে আসবেন? মোমের মূর্তিতে (wax statue) 'জীবন্ত' হয়ে?
এ কেমন রহস্য?
ভাবছেন এ আবার কী রকম ধাঁধা? যিনি চলে গিয়েছেন, তিনি ফিরে এলেন? মোমের মূর্তি হয়ে? সোনার পাথরবাটি নাকি? কিছুটা সেরকমই। আসলে বোনের বিয়ে উপলক্ষে প্রয়াত বাবার একটি মোমের মূর্তি গড়ে এনেছিলেন দাদা। বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগে সেই মূর্তি দেখে বিহ্বল হয়ে পড়েন কনে। দু'চোখে জলের ধারা। পাশে দাঁড়িয়ে মা। তিনিও জল মুছছেন। আত্মীয়-স্বজনও বিহ্বল। সকলেই জানেন, এ পৃথিবী থেকে যাঁরা চলে যান রক্তমাংসে তাঁদের পক্ষে ফেরা সম্ভব নয়। কিন্তু বোনের বিশেষ দিনে বাবার অনুপস্থিতির কষ্ট কমাতে চেয়েছিলেন দাদা আবিলা অবুলা ফানি। তাই মোমের মূর্তি।
সূত্রের খবর, অতিমারীর প্রকোপ যখন তুঙ্গে তখন করোনা-সংক্রমণের জেরে মৃত্যু হয় অবুলা সুব্রহ্মণ্যমের। অক্সিজেনের মাত্রা এতই কমে গিয়েছিল যে আর ফেরানো যায়নি তাঁকে। ছেলে সে সময় আমেরিকায়।
'ফিরে' আসা যায়...
ফিরে আসার পর অনেক কিছুই বদলে যায়। তবে বোনের বিয়েতে বাবাকে কোনও না কোনও ভাবে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন আবিলা। সেই ভাবনা থেকেই মোমের মূর্তি। একঝলক দেখলে মনে হবে, বাবা-ই বসে রয়েছেন। এক বছরেরও বেশি সময় লেগেছে মূর্তি গড়তে।
বিয়ের লগনে সেই মূর্তিকেই জড়িয়ে ধরলেন কনে। পরম স্নেহে বাবার গালে আদর করলেন। গোটা পর্বের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ল সোশ্যাল মিডিয়ায়। মুহূর্তে ভাইরাল সেটি। সঙ্গে আলোচনা-সমালোচনা। কাজটা কি ঠিক করলেন আবিলা?
তর্ক চলতে পারে। কিন্তু আবেগের প্রতিটা কণা ষোলো আনা খাঁটি, সেটা মানছেন সকলেই।
আরও পড়ুন:সন্তান-হত্যার 'অপরাধে' যাবজ্জীবন, মুক্তি দিল কর্নাটক হাইকোর্ট