রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান: সাময়িক হলেও, অবশেষে শান্তির ঘোষণা। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাময়িক ইতি টানার সিদ্ধান্ত রাশিয়ার। এর আগে অবশ্য যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী বাড়িতে ফিরলেন ডাক্তারি পড়তে যাওয়া ছাত্র শেখ আকিভ মোহাম্মদ। ইউক্রেনের কিভ থেকে নিজের দায়িত্বে পোল্যান্ড বর্ডার হয়ে এসেছেন তিনি। ভারতীয় দূতাবাসের সাহায্যে বাড়িতে ফিরে অত্যন্ত খুশি সে। এদিকে ছেলে ঘরে ফেরায় খুশি পরিবার। তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেন ছাত্রের।


ঠিক কী হয়েছে? 


পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী শেখ আকিভ মোহাম্মদ ২০১৮ সালে ডাক্তারি পড়তে ইউক্রেনে যায়। তাঁর বাবা আমজাদ আলী রাজ্য পুলিশের এ এস আই। ইউক্রেন আর রাশিয়ার যুদ্ধের পর থেকেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছিলেন ডাক্তারি পড়ুয়া আকিভ। মার্চের এক তারিখে খারকিভ স্টেশন থেকে কুড়ি ঘন্টা ট্রেন জার্নি করে তিনি পৌঁছন লিভ। সেখান থেকে গাড়ি  করে ৬০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে  পোলান্ডের বর্ডারের কয়েক কিলোমিটার আগে নামে। তারপর কয়েক কিলোমিটার হেঁটে পোল্যান্ডের বর্ডারের পৌঁছায়। সেখানে প্রায় ১০ থেকে ১০ ঘন্টা দাড়িয়ে থাকার পরে ভারতীয় দূতাবাসের সাহায্যে ৪ তারিখের দিল্লিতে পৌঁছন আকিভ। 


তারপর সেখান থেকে পূর্বস্থলী নিজের বাড়িতে ফেরেন আকিভ। ছেলেকে কাছে পেয়ে পরিবারের সকলেই খুশি। পূর্বস্থলী বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলে আমরা সবসময় খোঁজ রাখতাম আকিভের পরিবারের সঙ্গে ফিরে আসায় আমরাও খুশি। আকিভ চাই যুদ্ধ থামলে ফের ইউক্রেনে গিয়ে ডাক্তারি পড়াশোনা শুরু করবে।          


এদিকে, কোনওরকমে সেদেশ ছাড়তে পারলেও এখনও রোমানিয়া সীমান্তে আটকে কলকাতার মেয়ে ফারহানা সুলতানা। খারকিভে ডাক্তারি পড়তে যাওয়া ওই পড়ুয়ার দাবি, রোমানিয়া আসার পথে ট্রেনে উঠতে বাধা দেওয়া হয়। ভারতীয়দের ওপর অত্যাচার চালানো হয়। কোনওমতে টার্নোপিল শহরে পৌঁছন ফারহানা। সেখান থেকে রোমানিয়া। ভারত সরকারের কাছে দ্রুত উদ্ধারের আবেদন জানিয়েছেন কলকাতার বাসিন্দা ওই তরুণী।