কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: ফের রাজ্যের বুকে বজ্রপাতে মৃত্যু (West Bengal Lightning Death)। আজ বাঁকুড়ার পর এবার পূর্ব বর্ধমান জেলা। এদিন পূর্ব বর্ধমানে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে দুই জনের। আহত হয়েছে একজন। মৃত ব্যক্তির নাম মন্টু সিং। মৃত্যুকালীন বয়েস হয়েছিল ৫৬ বছর। আহত ব্যক্তির নাম দুর্গা ক্ষেত্রপাল (৫৮)। তাঁদের বাড়ি বর্ধমান থানার অন্তর্গত কমলপুরে। এছাড়াও মন্তেশ্বরে বাজ পড়ে আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম নিখিল ঘোষ। মৃত্যুকালীন বয়েস হয়েছিল ৬৩ বছর।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। সেই সময় মাঠ থেকে গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ বজ্রপাতে মন্টু ও দুর্গা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। মাঠের মধ্যে থাকা গ্রামবাসীরা ওই দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মন্টু সিংকে মৃত বলে ঘোষণা করেছে। তবে বর্ধমান হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে দুর্গা ক্ষেত্রপাল ।
অপরদিকে, আজ সন্ধ্যার মুখে এর দাপটেই লন্ডভন্ড হয়ে গেল বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের দেজুড়ি গ্রাম। এদিন সন্ধ্যের পর ওই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে পরিদর্শন করেন স্থানীয় বিধায়ক অলক মুখোপাধ্যায়। এদিন ঘড়ির কাঁটায় তখন বিকেল পাঁচটা। প্রবল বেগে ঝড় আছড়ে পড়ে বড়জোড়ার এই দেজুড়ি এলাকায়। ক্ষণিকের এই ঘূর্ণিঝড়ের পর বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এই এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে ঝড়ের দাপটে বহু ধরণের টিনের চালা উড়ে যায়। বেশ কয়েকটি জায়গায় গাছ উপড়ে রাস্তার উপর পড়ার কারণে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। বড়জোড়া এই দেজুড়ি মোড়ে একাধিক দোকান এবং বসতবাড়ির টিনের চাল উড়ে যায়।
প্রশাসন জানিয়েছে, ওই এলাকায় ফসল এবং আম ও কাঁঠালের বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই এলাকার বেশ কয়েকটি বসত বাড়ি। তবে প্রশাসন এখনও সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি হিসেব দিতে না পারলেও, ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে এদিন কথা বলেছেন এবং পরিস্থিতিও দেখতে গেছেন স্থানীয় বিধায়ক অলক মুখোপাধ্যায়। স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল কর্মকার এবং বাসুদেব লায়েক বলেন,'দিনভর ভ্যাপসা গরমে নাকাল হচ্ছিলাম আমরা। আচমকাই আকাশে কালো মেঘ ঢেকে যায়। প্রবল বেগে ঝড় আছড়ে পড়ে বড়জোড়ার এই দেজুড়ি এলাকায়। এর জেরে লন্ডভন্ড হযে যায় গ্রামটি।'