রানা দাস, কালনা: একদিন আগেই স্ত্রীর এটিএম কার্ডের (ATM Card) বৈধতা আছে কি না, জানতে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন অমিয় কুমার সাহা। আর তার পরের দিনই তাঁর কাছে ফোন আসে ব্যাঙ্কের। বলা হয়, আপনি যে এটিএম কার্ডের সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন, সেই এটিএম কার্ড পাল্টে দেওয়া হবে। এর পরেই ডেবিট কার্ডের পিন জানতে চাওয়া হয়। জানতে চাওয়া হয় মোবাইল ফোনে যাওয়া ওটিপিও।
তা বলার পরেই অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে পঞ্চাশ হাজার টাকা! কালনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই দম্পতি। প্রশ্ন উঠছে যে, গ্রাহক ব্যাঙ্কে গিয়ে ডেবিট কার্ডের ব্যাপারে যে খোঁজ নিয়েছিলেন, তা বাইরের কেউ জানল কী করে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি গোটা বিষয়ের সঙ্গে ব্যাঙ্কের কেউ জড়িত রয়েছেন? যিনি গোপন তথ্য বাইরে পাচার করছেন? তবে এ বিষয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে চায়নি।
ফের জালিয়াতির শিকার বৃদ্ধ দম্পতি। কালনার বৃদ্ধ দম্পতির অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হল ৫০০০০ টাকা। কালনা কাঁসারি পাড়ার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা বাণী সাহা। শহরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্য়াঙ্কে তাঁর একটি পেনশন অ্যাকাউন্ট রয়েছে । বৃহস্পতিবার এটিএম কার্ড নিয়ে তাঁর স্বামী ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন। সেখানে এক ব্যাঙ্ক কর্মীকে তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, এটিএম কার্ডের মেয়াদ কবে শেষ হবে। সেখান থেকে জানানো হয়, দেরি আছে। এখনও সেই ডেবিট কার্ড বৈধ বলেও জানানো হয়।
এর পরে তিনি বাড়ি চলে আসেন । পরের দিন শুক্রবার দুপুর একটা পঁয়তাল্লিশ নাগাদ তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। এবং ফোনে বলা হয়, আপনি ব্যাঙ্কে যে এটিএম এর সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন সেই এটিএম কার্ড বদলে দেওয়া হবে। এবং তাঁর কাছ থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও এটিএম এর বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হয়। তারপর চাওয়া হয় ওটিপি নম্বর। আর সেই ওটিপি দেওয়ার পরে দু দফায় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।
আপাতত পুলিশি সহায়তা পাওয়ার অপেক্ষায় ওই দম্পতি।
আরও পড়ুন: জেহাদি কার্যকলাপের অভিযোগ, জঙ্গি সন্দেহে ধাওয়া করে হাওড়ায় ২ জনকে গ্রেফতার STF-এর