রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান: দুয়ারে রেশন প্রকল্পে দুর্নীতির (Scam) অভিযোগ পূর্ব বর্ধমানের (Purba Burdwan) পূর্বস্থলীতে। গ্রাহকদের একাংশের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির নির্দেশে কম রেশন দিচ্ছেন ডিলাররা। পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে রাজ্য সরকারের দুয়ারে রেশন (Duare Ration) পরিষেবাকে কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতি! কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)। তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।


দুয়ারে রেশন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ। তা নিয়ে সরগরম পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী এক নম্বর ব্লকের মাদ্রা গ্রাম। গ্রাহকদের একাংশের অভিযোগ, যে পরিমাণ চাল-আটা তাঁদের পাওয়ার কথা, তার থেকে কম পরিমাণ রেশন মিলছে। প্রশাসনসূত্রে খবর, দুয়ারে রেশন প্রকল্পে মাথাপিছু গ্রাহককে মাসে ২ কেজি চাল ও ৩ কেজি আটা মিলে ৫ কেজি রেশন দেওয়া হয়। 


অভিযোগ, মাদ্রা গ্রামে প্রত্যেক গ্রাহককে ১০০ গ্রাম চাল ও সাড়ে সাতশো গ্রাম আটা কম দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির নির্দেশে ডিলার কম রেশন দিচ্ছেন। এমন অভিযোগে সরব গ্রাহকদের একাংশ। 


অভিযোগকারী রেশন গ্রাহক টিঙ্কু দাস বলছেন, মনে হল রেশনে মাল কম দিচ্ছে। জানতে চেয়েছিলাম। আলাদা করে ডেকে বলল কাউকে কিছু না বলতে। বলল পঞ্চায়েত সমিতি থেকে রেশন ডিলারদের কম করে দিতে বলেছে। তবে সেটা কোথায় যাবে আর কেন দিতে বলেছে তা আমাকে জানায়নি।


অভিযুক্ত রেশন ডিলারের ছেলে কৃষ্ণ ঘোষের সাফাই, আমাদের কম মাল দিচ্ছে। আমরাও তাই মাল কম দিচ্ছি। অভিযোগ অস্বীকার করে সাফাই দিতে গিয়ে, গোটা রাজ্যেই দুয়ারে রেশন প্রকল্পে কম চাল-আটা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতি! 


তা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিতে সময় নেয়নি বিজেপি। পূর্বস্থলী  ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক জানিয়েছেন, গোটা রাজ্য়েই রেশন ডিলারদের কম মাল দেওয়া হচ্ছে। সেকারণেই ওরা কম দিচ্ছে। আমরা কোনও নির্দেশ দিইনি।


 পূর্ব বর্ধমানের বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ পোদ্দারের কথায়, রাজ্য বলছে দুয়ারে রেশন। রাজ্যের মুখোশ খুলে দিল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতি। বলছে পর্যাপ্ত রেস সামগ্রী দেয় না সরকার। এর থেকেই বোজা যায় কী চলছে।


এই ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। কালনা মহকুমা শাসক সুরেশকুমার জগৎ-এর দাবি, পঞ্চায়ের সমিতি রেশনে খাদ্য সামগ্রী কম দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারে না। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


পূর্ব বর্ধমান জেলার খাদ্য নিয়ামক জানিয়েছেন, দুয়ারে রেশন প্রকল্পে প্রত্যেক গ্রাহকের যে পরিমাণ চাল-আটা পাওয়ার কথা, সেই জনপিছু বরাদ্দে কোনও কাটছাঁট করা হয়নি। ডিলাররা গ্রাহকদের রেশন কম দিচ্ছেন, এমন প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।