কমলকৃষ্ণ দে, খণ্ডঘোষ : জাল চালানে (Fake Chalan) বালি পাচারের অভিযোগ। আন্তঃজেলা বালিপাচার চক্রের পর্দাফাঁস করে ৪ পাণ্ডাকে গ্রেফতার করল খণ্ডঘোষ (Khandaghosh) থানার পুলিশ ! ধৃতদের থেকে ৪টি মোবাইল, বেশ কিছু বালির ভুয়ো চালান বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।


চালানের QR কোড থেকে শুরু করে সরকারি ওয়েবসাইট ! বালিপাচারের জন্য জাল নথি তৈরি করতে কসুর করেনি পাচারকারীরা। কিন্তু এত কিছুর পরও হল না শেষরক্ষা ! আন্তঃজেলা বালিপাচার চক্রের পর্দাফাঁস করল পুলিশ ! বালি চুরি চক্রের ৪ পাণ্ডাকে গ্রেফতার করল পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ ! ধৃতদের থেকে ৪টি মোবাইল, বেশ কিছু ভুয়ো বালির চালান বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।


কিন্তু জাল চালান বানিয়ে কীভাবে চলছিল এই বালিপাচার ?


সাধারণত বালির চালান সঠিক আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য, চালানের মধ্যে একটি QR কোড থাকে। এই কোড স্ক্যান করলেই, সরাসরি সরকারি ওয়েবসাইট www.mdtcl.wb.gov.in এর পেজ খুলে যায়। সেখান থেকেই চালানটি সঠিক কি না, তা যাচাই করে নেওয়া হয়। আর এখানেই করা হত জালিয়াতি ! পুলিশের দাবি, মূলত দুটি উপায়ে জাল করা হত বালিপাচারের চালান !


পুলিশের দাবি, প্রশাসন ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকদের চোখে ধূলো দিতে সরকারি ওয়েবসাইটের আদলে প্রতারকরা www.mdtcl.wb-gev.in নামের একটি জাল ওয়েবসাইট তৈরি করে তারপর ভুয়ো চালান তৈরি করে তাতে জাল QR কোড তৈরি করা হত। জাল QR কোডের সঙ্গে লিঙ্ক করে দেওয়া হয় ভুয়ো সরকারি ওয়েবসাইট। যাতে চালান পরীক্ষার সময় সহজেই আধিকারিকদের চোখে ধুলো দেওয়া যায় ! এ তো গেল, একটি উপায় !


জাল চালান তৈরি করতে আরও একটি উপায় অবলম্বন তৈরি করেছিল প্রতারকরা। পুলিশের দাবি, এক্ষেত্রে একটি আসল চালানকে স্ক্যান করে, তাতে তারিখ, গাড়ির নম্বর-সহ অন্যান্য তথ্য বদলে দেওয়া হত। বদলে দেওয়া হত, আসল চালানে থাকা QR কোড। পুলিশের দাবি, এভাবেই সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্বের ক্ষতি করে চলছিল বালিপাচার !


গোপনসূত্রে খবর পেয়ে, বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের খেজুরহাটি থেকে লায়েক আজহারউদ্দিন নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাঁকে জেরা করে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এর নেপথ্যে শুধু পূর্ব বর্ধমানেই নয়, আন্তঃজেলা চক্র কাজ করছে। তাদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। 


আরও পড়ুন ; রাতের অন্ধকারে ম্যরাথন তল্লাশি খড়গপুরে, কংসাবতী নদী থেকে বাজেয়াপ্ত ৯টি বালি তোলার যন্ত্র