বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: অর্থের অভাবে বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের (University) ভবন নির্মাণের কাজ। প্রায় ২ বছর ধরে মহিষাদল রাজ কলেজের একাংশে চলছে মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Mahatma Gandhi University) পঠনপাঠন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। ভোটের গিমিক বলে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি (BJP)-সিপিএম (CPM)। 


নীল-সাদা পাঁচিল দিয়ে ঘেরা এই জমিতেই তৈরি হওয়ার কথা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এখন সেখানে শুধুই ঝোপঝাড়-আগাছার জঙ্গল। অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে পূর্ব মেদিনীপুরে মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজ।


অথচ পরিকাঠামো তৈরি না হলেও প্রায় ২ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন চলছে মহিষাদল (Mahisadal) রাজ কলেজের একাংশে । পঞ্চায়েত ভোটের আগে এনিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। এভাবে অন্য একটি কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনে যে সমস্যা হচ্ছে তা স্বীকার করেছেন তৃণমূলের (TMC) বিধায়কও । 


মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীর কথায়, এইভাবে পঠনপাঠন চালাতে সমস্যা হচ্ছে। আমি ২১-এর ভোটের আগে বলেছিলাম যাতে শেষ করা যায়। ২০১৮ সালে পূর্ব মেদিনীপুরে মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মহিষাদলের বামুনিয়ায় জমি চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় ভবন তৈরি করতে শুরু করে পূর্ত দফতর।


কিন্তু প্রাচীর দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হলেও অর্থের অভাবে ভবন তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে যায় বলে অভিযোগ। তবে ভবন তৈরি না হলেও ২০২১ মহিষাদল রাজ কলেজের একাংশে  বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন চালু করে দেওয়া হয়। এনিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল।


মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলছেন, কেন্দ্র তো রাজ্যকে সব দিক থেকেই বঞ্চনা করছে। সেই কারণেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতে পারিনি । দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির চেষ্টা চলছে।


স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন একের পর এক তৃণমূল নেতা। এই আবহে শাসক দলের বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির প্রতিশ্রুতিকে ভোটের গিমিক বলে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদী উপাচার্য। মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একমাত্র ইউনিভার্সিটি। অর্থের অভাবে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো তৈরিও এখন বিশ বাঁও জলে। 


আরও পড়ুন: Recruitment Scam : মাত্র একজন গ্রেফতার ! গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারকের ক্ষোভের মুখে সিবিআই