নয়া দিল্লি: তুষারপাতের মধ্যেই বদ্রীনাথের দরজা খুলে গেল তীর্থযাত্রীদের জন্য। দেশের অন্যতম তীর্থস্থানের দরজা খোলার আগেও তুষারপাত হয়েছিল। তবে ভক্তদের উল্লাসও ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রতি বছরের মতো এ বছরও দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে প্রথম পুজো ও আরতি করা হয় বদ্রীধামে।                                                                           

  


উত্তরাখণ্ডে যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী এবং কেদারনাথ ধামের দরজা খুলে গিয়েছে আগেই। এখন চারধামের শেষ কেন্দ্র বদ্রীনাথ ধাম এর দরজাও আজ খুলে গেল। বৈদিক জপ এবং ফুলের বৃষ্টির মধ্যে আজ সকাল ৭.১০ মিনিট থেকে ভক্তদের দর্শনের জন্য খুলে দেওয়া হল ভগবান বিষ্ণুর আবাস বদ্রীনাথের দরজা। 


'জয় বদ্রী বিশাল' ধ্বনিতে মুখরিত ছিল মন্দির চত্বর।ভক্তদের পাশাপাশি ছিল  আইটিবিপি ব্যান্ডের সদস্যরা। এছাড়াও গাড়ওয়াল স্কাউটসও এই অনুষ্ঠানে পারফর্ম করে। দরজা খোলার আগেই শঙ্করাচার্য পৌঁছে গিয়েছিলেন আভিমুক্তেশ্বরানন্দ মন্দিরে। প্রথম দিন প্রায় ১৫ টনেরও বেশি ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে বদ্রীনাথ মন্দির। পুজো দিতে ভিড় জমিয়েছেন ভক্তরা। 


চারধাম যাত্রার অন্তর্গত অন্যতম তীর্থস্থান বদ্রীনাথ ধাম। যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী, কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ-এই নিয়ে চারধাম যাত্রা হয়। প্রতিবছর এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের জন্য এই মন্দিরের দরজা খোলে।


 






উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানান, উত্তরাখণ্ডের চারধাম যাত্রাকে সহজ এবং নিরাপদ করার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা করা হয়েছে। সামাজিক সংগঠন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিও যাত্রার জন্য পূর্ণ সহযোগিতা করেছে। পাশাপাশি বিগত বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই তীর্থযাত্রার ব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করা হয়েছে। গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী ধামে যাত্রা নির্বিঘ্নে চলছে। বদ্রী বিশালের দরজাও ভক্তদের দর্শনের জন্য খুলে দেওয়ার পর প্রশাসন সব দিক খেয়াল রাখবে যাতে মানুষের কোনও অসুবিধা না হয়।


 


আরও পড়ুন, ঘুম থেকে উঠতে না উঠতেই বেড টি চলে এল, খারাপ না ভাল ?