কলকাতা: দোরগোড়ায় আমের মরসুম। গাছে গাছে দেখা মিলছে। এসে গিয়েছে বাজারেও। অধিকাংশ বাঙালির কাছে আমের মাহাত্ম্য একেবারেই আলাদা। পাকা আমের আগেই রসনাতৃপ্তি করতে শুরু করে কাঁচা আম।


বাজারেও বিক্রি হতে শুরু হয়েছে কাঁচা আম। পাকা আম ফল হিসেবে খাওয়া হয়। মিষ্টি তৈরিতেও ব্যবহার হয়। কিন্তু কাঁচা আমের ব্যবহার আরও বিবিধ। শুধু ফল নয়, বিভিন্ন রান্না, আচার তৈরি, পানীয় তৈরিতেও ব্যবহার হয় এটি।


কাঁচা আমেরও একাধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে। চাটনি, আচার থেকে শুরু করে হজমি- নানা জিনিস তৈরিতে ব্যবহার করা হয় কাঁচা আম। গরমে প্রতিদিনের রান্নাতেও ব্যবহার হয় কাঁচা আম। কী কী গুণ রয়েছে এতে?


একাধিক উপকার:
কাঁচা আম ভিটামিন সি-এর ভাল উৎস। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিভিন্ন সংক্রমণ দূরে রাখতে সাহায্য করে ভিটামিন সি। 


কাঁচা আমে একাধিক উৎসেচক রয়েছে যা হজমে করতে সাহায্য় করে। প্রোটিন ভেঙে পেলতে সাহায্য করে ওই উৎসেচকগুলি। এর ফলেই হজমে সুবিধা হয়। কাঁচা আমে ফাইবারও থাকে যা পাচনে সাহায্য করে।


কাঁচা আমে থাকে পেকটিন। এই পেকটিন রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে কাঁচা আম কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।


গরমে লু-এর জন্য, হিট স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সেই বিপদ থেকে বাঁচাতে পারে কাঁচা আম। ভারতে গরমকালে কাঁচা আমের সরবত, আম পোড়া সরবত খাওয়া হয়। যা আদতে গরম থেকে বাঁচার জন্য সাহায্য করে।


কাঁচা আমে (Raw Mango) বিপুল পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই রয়েছে। যা চোখ ভাল রাখে, ত্বকে ব্রণ বা ফুসকুড়ি হতেও বাধা দেয়।


কাঁচা আমে ভিটামিন বি সিক্স (Vitamin B6) রয়েছে। যা লিভার বা যকৃতের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। মেটাবলিজম ভাল রাখতে সাহায্য করে। 


কাঁচা আমের চাটনি, আচার। কাঁচা আমের ডাল, আম পোড়া সরবত। বিভিন্ন ভাবে ব্য়বহার হয়। কাঁচা আম রোদে শুকিয়ে নুন  ও মশলা মাখিয়েও খাওয়া হয় ঘরে ঘরে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: মাছ খান না? ডিমে অ্যালার্জি? প্রোটিন মিলবে কীভাবে?