ময়না (পূর্ব মেদিনীপুর) : পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থেকে উদ্ধার হওয়া বোমা নিষ্ক্রিয় করল বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। গতকাল বিকেলে ময়নার বাকচায় ১২টি প্লাস্টিকের ড্রামে প্রায় ৮০০ তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। আজ সকালে এলাকায় গিয়ে বোমা নিষ্ক্রিয় করে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। 


এদিকে বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির জন্য বোমা মজুত করেছিল বিজেপি, এমনই অভিযোগ করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে, পাল্টা শাসকদলের ঘাড়েই বোমা মজুতের দায় চাপিয়েছে গেরুয়া শিবির।


রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গত কয়েকদিনে বোমা উদ্ধার- 


গতকাল মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে মাঠের মধ্যে মেলে তাজা বোমা। এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল সকালে মাঠের মধ্যে দুটি বালতিতে বোমা রয়েছে দেখতে পান রুহি গ্রামের বাসিন্দারা। ২০টি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়। খবর দেওয়া হয় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে। 


দিনকয়েক আগে রহড়া থানা এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে ১৭ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়। রহড়ার রুইয়া মধ্যপাড়া এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কিশোরের দাদুর দাবি, রহড়া থানার পিছনে জঙ্গল থেকে একটি কৌটো বাড়িতে আনে সে। কৌটো খুলতেই বিস্ফোরণ ঘটে বলে কিশোরের পরিবারের দাবি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কিশোরকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। থানার পিছনে বোমা কোথা থেকে এল তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।


কৌটোবোমা বিস্ফোরণে কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায়, থানা লাগোয়া এলাকা খতিয়ে দেখে CID-র বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। অন্যদিকে, পুলিশের বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে নিহত কিশোরের বাবা। তাঁর অভিযোগ, যখন তিনি পুত্রশোকে কাতর, সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধেই বোমা বাঁধার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। যদিও পুলিশ সূত্রে দাবি, নিহত কিশোরের বাবার অভিযোগ ভিত্তিহীন। 


রহড়ার পর ব্যারাকপুর। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কুমার পট্টি এলাকায় নর্দমা পরিষ্কার করার সময় ২টি বোমা পড়ে থাকতে দেখেন সাফাই কর্মীরা। ছড়ায় আতঙ্ক। পরে টিটাগড় থানার পুলিশ বোমাগুলি উদ্ধার করে।