কলকাতা: একটা ঘরে জনা সাতেক খুদে। অথচ কোনও চেঁচামেচি নেই, হুল্লোড় নেই। এমনকি তাঁদের মাঝখানে যে এসে বসেছেন নায়িকা শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, তাতেও হুঁশ নেই তাদের! অনেক কষ্টে সাড়া পাওয়া গেল তাদের। কিন্তু শুভশ্রী দেখেও যেন বিরক্ত ছোটরা। মোবাইল গেম খেলায় ব্যাঘাত ঘটেছে যে।
খুদেদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলেন শুভশ্রী। মোবাইল গেম মোটেই ভালো নয়, এতে বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু ছোটদের যুক্তি, বড়রা মোবাইলে ব্যস্ত থাকলে ক্ষতি নেই, যত দোষ বুঝি ছোটদের? শুভশ্রী আর খুদেদের এমন যুক্তি-পাল্টা যুক্তিতে আসর সরগরম। শেষমেশ শুভশ্রী বোঝালেন, একটি ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন ঠিক কতটা ক্ষতিকারক মোবাইল গেম।
ছবির একটু গল্প বলায় শেষমেষ রাজি খুদেরা। ছবি দেখে তারাই বুঝতে পারবে, মোবাইল গেম খেলা ঠিক কতটা বিপজ্জনক। আর তারপরে নিজেদের সিদ্ধান্ত নেবে নিজেরাই।
আরও পড়ুন: Belashuru: 'বেলাশুরু' শেষে কী বলেছিলেন স্বাতীলেখা? অভিনেত্রীর জন্মদিনে অদেখা সেই ভিডিও প্রকাশ্যে
ছবির নাম 'হাবজি গাবজি'। মোবাইল আর গেমের নেশায় বুঁদ এক শিশুর ভার্চুয়াল জগতে হারিয়ে যাওয়ার গল্প.. মা-বাবার থেকে দূরে সরে যাওয়ার গল্প বলবে রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty) পরিচালিত নতুন ছবি 'হাবজি-গাবজি' (Habji Gabji)।
'হাবজি গাবজি' নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এবিপি লাইভকে রাজ বলেন, 'আমাদের সঙ্গে আমার ভাগ্নি থাকে। কয়েকবছর আগেও ওর প্রচণ্ড মোবাইল গেমে আসক্তি ছিল। আমি রোজ রাতে ইন্টারনেট অফ করে শুয়ে পড়তাম, সকালে উঠে দেখতাম নেট অন রয়েছে। একদিন শুভশ্রী আবিষ্কার করল, আমার ভাগ্নি রোজ মাঝরাতে উঠে ইন্টারনেট অন করে দেয়। তারপর সারারাত পাবজি খেলে। এমনকী সবার সঙ্গে বসে কথা বলার সময়ও দেখতাম ও মোবাইল গেমে মগ্ন হয়ে থাকে। আমি বারণ করাতে ও আমায় এড়িয়ে যেতে থাকে। ওকে দেখেই প্রথম এই ছবির পরিকল্পনা মাথায় আসে। তারপর আমার অনেক সহকর্মীর সঙ্গে গল্প করতে করতে শুনি, বেশিরভাগ বাড়ির ছোটদের নেশাই মোবাইল গেম।' ছবি মুক্তি পাচ্ছে ৩ জুন।