বিটন চক্রবর্তী ও ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় সিবিআই (CBI) তদন্ত চলছে। এবার তারই একটি মামলায় সিবিআইয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সামনে আইনজীবি ও ল-ক্লার্করা। কাঁথি মহকুমা আদালতের দুই আইনজীবী ও ৫ জন ল-ক্লার্ককে নোটিশ দিয়েছে সিবিআই। ভোট পরবর্তী সময়ে বিজেপি নেতা জন্মেঞ্জয় দোলুই (চাঁদু) খুনের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। 


কবে নোটিশ:
বুধবার বিকেলে কাঁথি আদালতে এই নোটিশ পৌঁছয়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় আদালত (Court) চত্বরে। আইনজীবী ও ল-ক্লার্কদের ডেকে পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে নানা স্তরে কথা ওঠে। নোটিশ অনুযায়ী দুজন বৃহস্পতিবার হলদিয়ায় (Haldia) সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসে এসেছিলেন। 


কেন এই নোটিশ:
সূত্রের খবর, গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে কাঁথি-৩ ব্লকের তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদ সদস্য নন্দ মাইতিকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় নাম জড়ায় ওই এলাকার বাসিন্দা জন্মেঞ্জয় দোলুইয়ের৷ ভোটের ফল বেরনোর পরে ওই বিজেপি কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে পাল্টা বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপর ফাঁকা মাঠে থেকে বিজেপি কর্মী জন্মেঞ্জয় দোলুইয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করা হয়। পরে ওই খুনের ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব নেয় সিবিআই। সেই ঘটনায় একাধিক তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়েছে। তাঁরা আদালত থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিনও পেয়েছেন। সেই মামলাতেই নাম জড়িয়েছিল দুইজন আইনজীবী ও পাঁচজন ল-ক্লার্কের৷ তাঁদেরই নোটিস ধরিয়েছে সিবিআই৷


ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বারবার সরব হয়েছে বিজেপি। বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পর রাজ্যের নানা প্রান্তে বিজেপি কর্মীদের খুনের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই শাসকদল তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। তা নিয়ে কেন্দ্রীয় বিজেপি ও রাজ্য বিজেপি দুতরফেই আন্দোলন হয়েছে। রাস্তাতেও নেমেছে বিজেপি।  


আরও পড়ুন: আলাদা শিক্ষানীতি আনবে রাজ্য, তৈরি দশ সদস্যের কমিটি