বিটন চক্রবর্তী, তমলুক : কর্মী সম্মেলন হবে একটি ওয়ার্ডের। তার জন্য গেস্ট হাউজ ভাড়া করা হয়েছে ১০০ কিলোমিটার দূরে দিঘায়। আর এই নিয়েই তৃণমূলের অন্দরে অসন্তোষ প্রকাশ্যে এল তমলুকে। যা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপিও।


সমুদ্র সৈকত, দিঘা চলো। যাত্রা শুরু ১৩ জুন, বিকেল ৩টে তমলুক রেল স্টেশন থেকে। না, এ কোনও পর্যটন সংস্থার বিজ্ঞাপন নয়। আসলে উপলক্ষ্য হল, তৃণমূলের একটি মাত্র ওয়ার্ডের কর্মী সম্মেলন। যার জন্য তমলুক থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে দিঘা ভ্রমণের আয়োজন করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে ভাড়া নেওয়া হয়েছে গেস্ট হাউজও। আর এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের অন্দরেই। সমালোচনার ঢেউ উঠেছে সোশাল মিডিয়াতেও।


আগামী সোম ও মঙ্গলবার দিঘায় কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেছে, তমলুক পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতৃত্ব। চলছে জোরাল প্রচারও। কিন্তু এনিয়েই আপত্তি তুলেছেন, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও যুব তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি পার্থপ্রতিম মাইতি। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, তমলুক পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা আমাকে ক্ষমা করবেন, টাকা না থাকার কারণে এরকম সম্মেলন করতে পারছি না। আমায় ক্ষমা করবেন। 


নিজের ওয়ার্ডের কর্মী সম্মেলন নিয়ে অবশ্য বিতর্কের কোনও কারণ দেখছেন না, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ও তমলুকের টাউন সভাপতি চঞ্চল খাঁড়া। তিনি বলেন, এতে দোষের কি আছে ? ওয়ার্ডের কর্মীরা আমার কাছে এই প্রস্তাব রেখেছিলেন। সেটাতে আমি সম্মতি দিয়েছি। সমুদ্র সৈকতে ঘোরা ও রাজনৈতিক আলোচনা দুই-ই হবে। আর যারা এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা দলকে অসম্মান করছেন।


ওয়ার্ডের কর্মী সম্মেলন নিয়ে তৃণমূলের অন্দরের দ্বিমত প্রকাশ্যে চলে আসায়, স্বাভাবিকভাবেই কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির তমলুক নগর মণ্ডলের সভাপতি সুকান্ত চৌধুরী বলেন, তৃণমূলের একাধিক গোষ্ঠী। ওদের হাতে কাটমানির প্রচুর টাকা আছে। তাই এসব করে বেড়াচ্ছে।


গত পুরভোটে, ২০ ওয়ার্ডের তমলুক পুরসভার ১৮টি আসনেই জিতেছে তৃণমূল। মাত্র ২টি ওয়ার্ড ঝুলিতে রাখতে পেরেছে বিজেপি। বোর্ড ফের দখলে রাখলেও ভোটের মাস চারেকের মধ্যেই, দিঘায় কর্মী সম্মেলন ঘিরে প্রশ্ন উঠল তৃণমূলেই।