এরশাদ আলম, খয়রাশোল (বীরভূম) : বন্ধুদের সঙ্গে স্নান খেলার ছলে স্নানে নামা ডেকে আনল মর্মান্তিক পরিণতি। অজয় নদের জলে তলিয়ে গেল এক স্কুলপড়ুয়া। স্থানীয়দের মধ্যে শোকের আবহ যদিও বদলে গেল ক্ষোভ-বিক্ষোভ। অস্থায়ী খড়ের চালা থেকে বাইক, আগুন লাগিয়ে পড়িয়ে দিল ক্ষিপ্ত জনতা। তাদের অভিযোগ, প্রশাসনের গাফিলতির জেরেই ঘটেছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ঘটনা পশ্চিম বর্ধমান এর পাণ্ডবেশ্বর ও বীরভূমের খয়রাশোলে সীমান্তবর্তী এলাকায়।


স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে অজয় নদ থেকে তোলা হচ্ছে বালি। আর এভাবে ক্রমাগত বালি তোলার জেরেই নদীগর্ভে তৈরি হচ্ছে বড় বড় গর্ত। আর তার জেরেই ঘটেছে এই দুর্ঘটনা।


ঠিক কী ঘটেছে


শনিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে পাণ্ডবেশ্বর ও খয়রাশোলে সীমান্তবর্তী এলাকায়। বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে অজয় নদে গিয়েছিল ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র অনিমেষ বাদ্যকর (১১)। কিন্তু স্না করার মাঝে আচমকাই ডুবে যায় সে। স্থানীয় স্কুলপড়ুয়ার ডুবে যাওয়ার খবর গিয়ে পৌঁছয় পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাণ্ডবেশ্বর থানায় ও বীরভূমের খয়রাশোল থানায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় খয়রাশোল থানার পুলিশ।


স্থানীয়দের বিক্ষোভ


ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দীর্ঘক্ষণ তল্লাশির পরও স্কুলপড়ুয়ার দেহ উদ্ধার না হওয়ায় একসময় অধৈর্য্য হয়ে বালি ঘাটের অস্থায়ী খড়ের চালা এবং বাইকে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে বীরভূমের খয়রাশোল থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শেষপর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা পর ওই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।


কয়েকদিন আগেই পুকুরে স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল দুই বালকের। ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) জামুরিয়া (Jamuria) থানার গ্রাম জামুরিয়াতে। দুই বালকের মর্মান্তিক মৃত্যুর (Death) ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। কাল ৯টা নাগাদ পাঁচ বালক আখলপুর বাঁধের নিকট পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিল। স্নান করতে গিয়ে দুই বালক জলে তলিয়ে যায়।


আরও পড়ুন- হাওড়ার পর মুর্শিদাবাদ জেলার একাংশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ