সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: রামপুরহাটকাণ্ডে (Rampurhat violence) স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।


‘রাজ্যকে প্রথমে তদন্তের সুযোগ দিচ্ছে আদালত। ঘটনাস্থল মুড়ে ফেলতে হবে সিসি ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরায়। অবিলম্বে সিএফএসএল-র দিল্লির আধিকারিকরা নমুনা সংগ্রহ করবে। সাক্ষীর নাম লেখা যাবে না’, নির্দেশ প্রধান বিচারপতির।


আদালত আরও বলেছে, ‘সাক্ষী ও গ্রামবাসীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। জেলা জজের সঙ্গে আলোচনা করে সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। কাল দুপুর দুটোর মধ্যে পেশ করতে হবে কেস ডায়েরি, রিপোর্ট।’


‘কেন ময়নাতদন্ত বাকি থাকল?’ ভিডিওগ্রাফি-সহ কোর্টে পেশ করতে নির্দেশ হাইকোর্টের। ‘ফরেন্সিক পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করতে পারবেন?’ কেন্দ্রকে প্রশ্ন হাইকোর্টের। আদালতের প্রশ্নের মুখে সম্মতি জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। ‘নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রস্তুত, কোর্ট চাইলেই বাহিনী যাবে।’ হাইকোর্টে জানালেন কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী।


রামপুরহাটকাণ্ডে কাল হাইকোর্টে ফের শুনানি।


রামপুরহাটের বকটুই গ্রামে ভয়ঙ্কর হত্যালীলা। তৃণমূলের উপপ্রধান খুনের পর একের পর এক বাড়িতে আগুন। জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ হয়ে শিশু-মহিলা সহ আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এই বীভৎস ঘটনার পর, প্রশ্ন উঠছে, কী করে আগুন লাগল? দুর্ঘটনা? শর্টসার্কিট? নাকি পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে খুন? প্রাথামিক তদন্তের পর পুলিশ যে এফআইআর করেছে, সেখান থেকেই স্পষ্ট হয়েছে যে, আগুন লাগিয়ে খুন করা হয়েছে। রামপুরহাটকাণ্ডে এফআইআর-এ যে ধারাগুলি দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল খুন, আগুন লাগানো, আগুন লাগিয়ে হত্যা, মারাত্মক অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা। এছাড়াও হিংসা ছড়ানোর ধারাতেও এফআইআর করা হয়েছে। যে বাড়ি থেকে সাত জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল, এদিন সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। পরে বগটুই গ্রামের আগুনে পোড়া অন্য বাড়ি থেকেও নমুনা সংগ্রহ করা হয়।


নিহত তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের অনুগামীরাই বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে, অভিযোগ নিহতের আত্মীয় মিহিলাল শেখের। এর পিছনে রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি আনারুল হোসেনের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার পাল্টা দাবি, উপপ্রধান খুনে অভিযুক্তরাই আগুন লাগিয়েছে। তৃণমূলকে বদনাম করতে তাঁর নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল ব্লক সভাপতি।