ঋত্বিক প্রধান, ভগবানপুর: যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) ভগবানপুরে (Bhagabanpur)। আজ সকালে স্থানীয় শ্মশানে একটি বাবলা গাছ থেকে পাওয়া যায় এক মহিলা ও এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ। একই শাড়ির দুই প্রান্তে ঝুলছিল দু’টি দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের (Cops) অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। তবে প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, স্কুল জীবন থেকেই মৃত যুগলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এই মহিলার পরিবারের লোকজন এই সম্পর্ক মানতে রাজি হননি। তাঁর অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু বিয়ের পরেও পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মৃতার। বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন এই সম্পর্ক মানতে রাজি ছিলেন না। গতকাল রাত থেকেই নিখোঁজ ছিলেন এই মহিলা। আজ সকালে প্রেমিকের সঙ্গেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।


আরও পড়ুন অভাবে বেআব্রু গোটা সংসার ! তা সত্ত্বেও সুতাহাটায় আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ ৭৮


মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, তাঁর তিন বছরের একটি ছেলে আছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পুরনো প্রেমিককে ভুলতে পারেননি তিনি।


আজ সকালে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। এটি আত্মহত্যার ঘটনা না দু’জনকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে মৃতার শ্বশুরবাড়ির লোকজন, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে ভগবানপুর থানার পুলিশ।


এদিকে, কিছুদিন আগে হিমাচল প্রদেশে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় এক গৃহবধূর। স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।


২০ ফেব্রুয়ারি আগরপাড়ার জয়িতা দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় পাইকপাড়ার বাসিন্দা রাহুল পোদ্দারের। ৪ মার্চ মধুচন্দ্রিমায় যান নবদম্পতি। পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে মৃতার স্বামীর দাবি, কিন্নরে সুইসাইড পয়েন্টে সেলফি তুলতে গিয়ে খাদে পড়ে যান নববধূ। গাড়িচালককেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে হিমাচল পুলিশ। সেলফি তুলতে গিয়ে খাদে পড়ে মৃত্যু নাকি নববধূকে কেউ ঠেলে ফেলে দিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।