বিটন চক্রবর্তী, মহিষাদল: চায়ের বিল বাবদ ১৪ হাজার টাকা বাকি রাখার অভিযোগ। কাঠগড়ায় মহিষাদলের ব্লক প্রশাসন। দোকানের দলিল দেখাতে পারলে, তবেই বকেয়া টাকা মিলবে বলে নাকি নিদান দিয়েছেন বিডিও। সেই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিডিও যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, অতিরিক্ত দাম দেখানো হয়েছে বিলে। টাকা চাইতে কাগজ চাওয়া হয়নি, সরকারি ভাবে জমির কাগজ দেখা হচ্ছে বলেই ওই দোকানদারের থেকে কাগজ চাওয়া হয়েছে বলে জানান বিডিও। (Purba Medinipur News)


পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল ব্লকের ঘটনা। সেখানে একটি চায়ের দোকানে প্রশাসনের ১৪ হাজার টাকা বাকি রয়েছে বলে অভিযোগ। এত টাকা বিল হল কী করে? জানা গিয়েছে, মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির অনুমোদিত ক্যান্টিনের কর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়ায়, বেশ কয়েক মাস ক্যান্টিন বন্ধ ছিল। সেই সময় পঞ্চায়েত সমিতির দফতর থেকে কিছুটা দূরে হিজলি টাইডাল ক্যানেলের পাড়ে দোকান খুলে বসেন নন্দ মাইতি। (TMC News)


অভিযোগ, সেই থেকে দিনের পর দিন ব্লক এবং পঞ্চায়েত সমিতির বিভিন্ন বৈঠকে ধারবাকিতে ওই দোকান থেকে চা, বিস্কুট, কফি, ঝালমুড়ি নেওয়া হতো। বাড়তে বাড়তে ১৩ হাজার ৬০০ টাকা বিল হয়ে যায়। বার বার সেই নিয়ে তাগাদা দিয়েও লাভ হয়নি। ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হলে ধমক খেতে হয় নন্দকে। বিডিও দোকানের জায়গার কাগজপত্র জানতে চান বলে দাবি তাঁর। টাকা না পেয়ে তিনি সমস্য়ায় পড়েছেন বলে জানিয়েছেন নন্দ।


আরও পড়ুন: Arnab Dam: সোমবার PHD-তে ভর্তি হতে পারেন প্রাক্তন মাওবাদী নেতা অর্ণব, অবশেষে কাটল জট


যদিও মহিষাদলের বিডিও বরুণাশিস সরকার বলেন, "আমি আসার আগে এই ঘটনা ঘটেছে। উনি ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন। যে পরিমাণ টাকা বকেয়া বলছেন উনি, আসলে তত টাকা বাকি নেই। আর কাগজ চাওয়া হয়েছে অন্য কারণে। সরকারি জায়গায় যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের তথ্য নেওয়া হচ্ছে। তাই দোকানের জায়গার কাগজ আনতে বলা হয়েছে ওঁকে।"


মহিষাদল পঞ্চায়েতের সভাপতি শিউলি দাস বলেন, "আবেদন পেয়েছি। বিডিও-র সঙ্গে কথা বলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। চায়ের দোকানের টাকা না মিটিয়ে ব্লক প্রশাসন অমানবিকতার পরিচয় দিচ্ছে বলে মত বিজেপি-র রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপ দাস।