হারারে: আগের দুই ম্য়াচে একপ্রকার একপেশে লড়াই হয়েছিল। ভারতের বিরুদ্ধে না লড়াই করেই হারতে হয়েছিল জিম্বাবোয়েকে। চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য কিছুটা লড়াই করলেন জিম্বাবোয়ের (Zimbabwe) ব্য়াটাররা। যার নেতৃত্ব দিলেন জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা (Sikandar Raza)। তিনি ৪৬ রানের ইনিংস খেললেন। ভারতের বিরুদ্ধে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে (T20 Cricket) প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রান বোর্ডে ১৫২/৭ তুলে নিল জিম্বাবোয়ে। 


সিরিজে এই মুহূর্তে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে ভারত। এই ম্য়াচ জিতলেই সিরিজ জিতে যাবে শুভমন গিলের নেতৃত্বাধীন তরুণ ভারতীয় দল। এদিন টস জিতে প্রথমে জিম্বাবোয়েকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ভারত অধিনায়ক। এদিনের একাদশে একটি পরিবর্তন করা হয়। আবেশ খানের বদলে দলে সুযোগ পান তুষার দেশপাণ্ডে। নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারের প্রথম ম্য়াচ খেলতে নেমেছিলেন তুষার। নিজের প্রথম ওভারে ১১ রান খরচ করলেন চেন্নাই সুপার কিংসের পেসার। জিম্বাবোয়ের ২ ওপেনার মিলে শুরুতে দুর্দান্ত খেলছিলেন। মারুমানি ও মাধুভেরি মিলে আট ওভারে ষাটের গণ্ডি পার করিয়ে দেন। মারুমানিকে প্রথম প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান অভিষেক শর্মা। রিঙ্কু সিংহ ক্যাচ লুফে নেন। এরপর আরেক জিম্বাবোয়ের ওপেনারও প্যাভিলিয়নে ফেরেন শিবম দুবের বলে। তাঁর ক্যাচটিও লুফে নেন রিঙ্কু সিংহ। এরপর ব্রায়ান ব্রিটকে সঙ্গে নিয়ে সিকান্দার রাজা দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যাওয়া শুরু করেন। জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক একটা মারমুখি ইনিংস খেলার চেষ্টা করেন। ২৮ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। দুটো বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা হাঁকান রাজা। 


 






লোয়ার অর্ডারে সেভাবে কেউ যোগ্য সঙ্গ না দেওয়ায় জিম্বাবোয়ে বেশি রান বোর্ডে তুলতে পারেনি। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে একমাত্র তুষার দেশপা্ডে ছাড়া বাকি কোনও বোলারকেই চালিয়ে খেলতে পারেনি জিম্বাবোয়ের ব্যাটাররা। তুষার ৩ ওভারে ৩০ রান খরচ করেন। খলিল আহমেদ নিজের ৪ ওভারের স্পেলে ৩২ রান খরচ করে ২ উইকেট তুলে নেন। এছাড়া শিবম দুবে, রবি বিষ্ণোই, ওয়াশিংটন সুন্দর, অভিষেক শর্মা একটি করে উইকেট নেন। 


আরও পড়ুন: ফুটবল মাঠে সাফল্য পেয়েছে মেয়ে, গর্বিত বলিউডে দাপিয়ে বেড়ানো বাঙালি অভিনেতা